জুমবাংলা ডেস্ক : দুপুর ১টা বাজতেই দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন জড়ো হতে থাকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া সদরের কর্নেল (অব.) অলি আহমদ স্টেডিয়ামে। অল্প সময়ের মধ্যেই পুরো মাঠ কানায়-কানায় ভরে যায়। শুরু হয় বিক্ষুব্ধ জনতার নানান শ্লোগান। দুপুর ২টায় পুলিশ পাহারায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের মরদেহ মাঠে পৌঁছালে নেমে আসে শোকের ছায়া। হু হু করে কাঁদতে দেখা যায় মুসল্লিদের। লাখো মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় সিক্ত হয় আলিফ।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হয় নামাজে জানাজা। ইমামতি করেন বটতলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মওলানা ড. মাহমুদুল হক ওসমানী। পরে আলিফের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতিতে। সেখানে বিকেল পৌনে ৫টায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিন জানাজায় ছেলের জন্য দোয়া চাইতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানাজায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আমার ছেলেকে মাফ করে দিয়েন এবং তার জন্য দোয়া করবেন।’ এ সময় তিনি সরকারের কাছে তার ছেলে হত্যার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘সাইফুল ইসলাম একজন মেধাবী আইনজীবী ছিলেন। তার মৃত্যুতে সবাই শোকাহত ও বাক্রুদ্ধ। তাকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আইনজীবীরা কর্মবিরতিসহ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যাকারীরা আইনের আওতায় আসবে। আপনারা উত্তেজিত হবেন না।’
গত মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের মূল ফটকের সামনে রঙ্গম সিনেমা হল-সংলগ্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন।
সকালে চট্টগ্রাম নগরে নিহত সাইফুল ইসলামের দুটি নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা আড়াইটায় তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় লোহাগাড়া শাহপীর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। এরপর মরদেহ সেখান থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তার গ্রামের বাড়ি চুনতি ফারাঙ্গা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ জানাজা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।