জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ক্যাশিয়ার হিসাবে পরিচিত রুহুল আমিন মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উত্তরায় একটি বাসায় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আরেফের নেতৃত্বে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট জানায়, জাহাঙ্গীরের সঙ্গে সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে রুহুল আমিন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হন। তিনি জাহাঙ্গীরের গার্মেন্টস ব্যবসা থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। ৫ আগস্টের পর জাহাঙ্গীর সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে রুহুল আমিনই জাহাঙ্গীরের সবকিছু দেখভাল করতেন। গাজীপুর এবং ঢাকায় তার বিরুদ্ধে সর্বমোট পাঁচটি মামলা করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই জাহাঙ্গীর ছাত্রলীগের কিছু ক্যাডারকে নিয়ে উত্তরার হাউজবিল্ডিং এলাকায় এলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ওই সময় জাহাঙ্গীরের পিএস আতিকুর রহমান জুয়েল এবং ক্যাশিয়ার রুহুল আমিন মণ্ডল এলোপাতাড়ি গুলি করে ৫ ছাত্রকে হত্যা করে।
পরে উত্তেজিত জনতা জাহাঙ্গীরকে পিটিয়ে আহত করে। জাহাঙ্গীরের পিএসকে ক্ষুব্ধ জনতা পিটিয়ে মেরে ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে রাখে। রুহুল আমিন মন্ডল কৌশলে জনতার হাত থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন।
গণহত্যার ওই ঘটনার দায়ে রুহুল আমিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে উত্তরা থানায় মামলা হয়। এতদিন ধরে গ্রেফতার এড়িয়ে চলা রুহুল আমিনকে অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করলেন আব্দুল্লাহ আরেফ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।