সাবেক এমপি দুর্জয়ের ফ্ল্যাট-গাড়ি জব্দ, অবরুদ্ধ ১২ ব্যাংক হিসাব

Durjoy

জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের ২৫২৩ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, জমি ও তিনটি গাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত

এছাড়া ১২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিন নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক তাপস ভট্টাচার্য্য। শুনানি শেষে আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করেন।

দুর্জয়ের ক্রোক করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর লালমাটিয়ায় ২৫২৩ বর্গফুটের সাড়ে ৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট। রাজউক থেকে প্রাপ্ত পূর্বাচলের ৩ কাঠা ৭ ছটাক জমি যার মূল্য ৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৯৬ টাকা।

এছাড়া জব্দ করা তিনটি গাড়ির মধ্যে রয়েছে ৩৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মার্ক-২ টয়োটা একটি গাড়ি, ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার টয়োটা সেলুন কার ও ১ কোটি ৪১ লাখ ৬৬ হাজার টাকার টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার ৩০০ জেডএক্স (৩৩০০ সিসি) গাড়ি। এছাড়া ১২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদনে দুদকের সহকারী পরিচালক তাপস ভট্টাচার্য্য বলেন, সংসদ-সদস্য থাকাকালে নাঈমুর রহমান দুর্জয় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মোট ১১ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার টাকার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

তিনি অপরাধমূলক অসদাচরণ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড থেকে মোট ৪ কোটি ২২ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন। তার নিজের নামে ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৯টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মোট ৪৭ কোটি ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬৯০ টাকা জমা প্রদান এবং ৪৬ কোটি ৪৬ লাখ ৬১ হাজার ৯৬০ টাকা উত্তোলন করেছেন।

এর মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানি লন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ (দুর্নীতি ও ঘুস) সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে এর রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে অপরাধ করেছেন। ফলে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়।