জুমবাংলা ডেস্ক : জুলাই আন্দোলনের সময় সাবেক কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহের আহ্বান জানিয়েছিলেন বলে জানান নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। এরপর তারা আর জনতার দিকে রাইফেল তাক করেনি বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীতে জুলাই শহীদদের পরিবারের সম্মানে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ২০টি শহীদ পরিবারকে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়।
গত বছরের ৫ আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পরও যাত্রাবাড়ী আর সাভারে আন্দোলনকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি চলে। তবে রাজধানীতে সেসময় সেনা সদস্যদের ঘিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সাধারণ মানুষ। এর ঠিক একদিন আগে মিরপুরে, আন্দোলনে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে মিছিল করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা।
নৌ পরিবহন উপদেষ্টা জানান, সাবেকদের অনুরোধেই হত্যাযজ্ঞ থেকে বিরত ছিল সেনারা।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘একটা ভীত পরিবেশের মধ্যে ছিলাম। কারণ যদি আর দুদিন সময় পেত তাহলে হয়ত আমাদেরকেও উঠিয়ে নিয়ে যেত। কারণ আমরা সেনাবাহিনীকে সরাসরি বিদ্রোহ করতে বলেছিলাম। আল্লাহর রহমত এর পর থেকেই কিন্তু সেনাবাহিনী আর কারও ওপর রাইফেল উঁচু করেনি। এমনকি আমি দেখেছি ছাত্ররা ঠিক তার পরেপরে ট্যাঙ্কেও চড়েছে।’
অভ্যুত্থানে শহীদ অনেকের পরিবার আর আহতরা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এখনও সহায়তা পাননি বলে উল্লেখ করেন বিশিষ্টজনেরা।
সমাজকর্মী ড. শহিদুল আলম বলেন, ‘যে মানুষের রক্তের ওপর হেঁটে আমরা এই জায়গায় এসেছি সেই মানুষগুলিকে এই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বুঝিয়ে তাদেরকে বাদ রেখে আমরা চলে যাচ্ছি এবং বিভিন্নভাবে অজুহাত দিচ্ছি, এটা হবে ওটা হবে। একটা বিপ্লব যেমন হয়েছে, আরেকটা বিপ্লব সামনে আছে। কারণ এতকিছুর পরেও যদি আমার দেশ আগের জায়গায় আটকে যায় তাহলে আমরা সত্যিকার অর্থে ব্যর্থ হয়েছি।’
শহীদ সন্তানদের ছাড়া প্রথম ঈদ করতে যাচ্ছে পরিবারগুলো। এ নিয়ে আক্ষেপ তুলে ধরেন স্বজনরা।
শহীদ মনিরুল ইসলাম হৃদয়ের বাবা বলেন, ‘এই বছর আমি ঘরে একদিনও ঘরে ইফতার করিনি। ঘরে গেলে আমি আর বসে থাকতে পারি না। আমি আর ইফতার করতে পারি না। তার স্মৃতিগুলো আমার সামনে চলে আসে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন, ফিলিস্তিন ও পাকিস্তানের কূটনীতিকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।