জুমবাংলা ডেস্ক : চন্দনাইশ উপজেলার শঙ্খ নদীর তীরবর্তী ফসলের মাঠ ছেয়ে গেছে হলুদ সরিষার ফুলে। কয়েক বছর ধরে এখানে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে সরিষা চাষ।
শঙ্খের চর সহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকেরা অন্যান্য সবজির পাশাপাশি সরিষা চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন। উপজেলার দোহাজারী, লালুটিয়া, বরমা, চর-বরমা, চন্দনাইশ পৌরসভা, কাঞ্চননগর, সাতবাড়িয়া, বৈলতলী এলাকায় ব্যাপকহারে সরিষার চাষাবাদ হচ্ছে।
সরিষা আবাদে উৎপাদন ব্যয় তুলনামূলক অনেক কম। লাভের পরিমাণ অন্য ফসলের চেয়ে বেশি হওয়ায় অনেকে সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
কৃষকরা জানান, সরিষা আবাদে খরচ ও সময় দুটোই কম লাগে। পাশাপাশি দেশে সরিষা থেকে পাওয়া ভোজ্যতেলের চাহিদার কারণে সরিষার দাম সবসময়ই তুলনামূলক বেশি থাকে। এ কারণে রবিশস্য মৌসুমে অন্যান্য ফসল আবাদের পাশাপাশি সরিষার আবাদ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজাদ হোসেন জানান, বন্যার সঙ্গে পলি জমে থাকায় এ অঞ্চলের জমিতে সরিষার উৎপাদন ভালো হয়। সরিষা আবাদে খরচ ছাড়া ফসল বিক্রি করে কৃষক লাভবান হয়। বারি সরিষা-১৪ চাষ করে মাত্র ৮০ দিনে ফলন পাওয়া যায়।
সরকার সরিষা আবাদে বিনামূল্যে বীজ বিতরণ করছে। গত বছর ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়। এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০০ হেক্টর। বৃষ্টিতে কিছু জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি মৌসুমে ১৬৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। প্রকারভেদে বিঘাপ্রতি ৮ থেকে ৯ মণ সরিষার ফলন পাওয়া যাবে।
তিনি আরও জানান, সরিষা চাষ একদিকে যেমন মাটির উর্বরতা বাড়ায়, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরিষা ৩ মাস মেয়াদি ফসল। কৃষক কম খরচ ও কম পরিশ্রমে সরিষা চাষ করতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।