ফাউন্ডেশন থেকে ১ টাকাও বেতন নেননি সারজিস আলম

Sarjis Alam

জুমবাংলা ডেস্ক : জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক পদ ছেড়ে দেওয়া জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২ মাস ১০দিন আমি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব পালন করি। এরপর আমি দায়িত্ব থেকে সরে আসি। ফাইনালি আমার সাইনিং অথোরিটি ৭ জানুয়ারি হস্তান্তর হয় এবং অফিসিয়ালি আমার দায়িত্ব শেষ করি। এই দায়িত্ব পালনকালে আমি ফাউন্ডেশন থেকে কোনো বেতন বা সম্মানি নেইনি।’

Sarjis Alam

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পদ ছাড়ার কথা জানান সারজিস। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নিজের ভেরিয়ায়েড আইডি থেকে করা এক পোস্টে ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি।

নিজের ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আমি নেই। এই ফাউন্ডেশনের গতি তরান্বিত করার জন্য ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র, কাঠামো ও কাজের প্রক্রিয়াতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘এখন থেকে এক্সিকিউটিভ কমিটি পুরো অফিসের সার্বিক বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (CEO) সেখানে অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বর্তমানে সিইও (CEO) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।’

তিনি জানান, ‘গভর্নিং বডি ফাউন্ডেশনের পলিসি মেকিংয়ে কাজ করবে। যেখানে প্রধান উপদেষ্টাসহ ৪ জন উপদেষ্টা রয়েছেন (স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, স্থানীয় সরকার, ICT)। সাধারণ সম্পাদক’ নামে কোনো পদ এখন নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ফাউন্ডেশন প্রথম আর্থিক সহযোগিতা শুরু করে ১ অক্টোবর, অফিস চালু হয় ১৫ অক্টোবর থেকে। আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি ২১ অক্টোবর। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২ মাস ১০দিন আমি দায়িত্ব পালন করি। দায়িত্ব পালনকালে আমি ফাউন্ডেশন থেকে কোনো বেতন বা সম্মানী নেইনি।’

ফাউন্ডেশনের কাজের অগ্রগতি নিয়ে তিনি জানান, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্যারিফাইড ৮২৬ জন শহীদ পরিবারের মধ্যে ৬২৮ জনকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। পাশাপাশি প্রায় ১১ হাজার ভ্যারিফাইড আহতের মধ্যে প্রায় ২ হাজার আহতকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।

Realme Narzo 80: সেরা সব ফিচারের অসাধারণ স্মার্টফোন

সারজিস আলম পোস্টে বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত আমি আমার সর্বোচ্চ সময় ফাউন্ডেশনে দিতে পেরেছি ততদিন আমি দায়িত্ব পালন করেছি। যখন মনে হয়েছে, এখন থেকে ফাউন্ডেশনে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া আমার জন্য সম্ভব হবে নয় তখন আমি দায়িত্ব থেকে সরে এসেছি। আমার কাছে নিজের সীমাবদ্ধতা এড্রেস করা এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহণ বা ত্যাগ করা কোনো দুর্বলতা নয়; বরং এটাতে সৎ সাহস লাগে। আমি চেষ্টা করেছি আমার চেয়ারের দায়িত্বের সাথে সৎ থাকতে।’