আহমাদ মুহাম্মাদ : আবু কাবশা আনমাফা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, দুনিয়ায় চার ধরনের মানুষ আছে—
প্রথম প্রকার মানুষ
আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ ও ইলম দান করেছেন। সে সম্পদের বিষয়ে আপন রবকে ভয় করে, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে এবং তার সম্পদে আল্লাহর হক সম্পর্কে সে সচেতন। সে হলো সর্বশ্রেষ্ঠ স্তরের মানুষ।
দ্বিতীয় প্রকার
আল্লাহ তাআলা যাকে ইলম দিয়েছেন, সম্পদ দেননি; কিন্তু তার নিয়ত বিশুদ্ধ।
সে নিয়ত করে, আমার যদি তার মতো সম্পদ থাকত তাহলে আমিও তার মতো নেক আমল করতাম। সে নেক নিয়তের কারণেই সওয়াব পাবে। সুতরাং উভয়ের সওয়াব সমান।
তৃতীয় প্রকার
আল্লাহ তাআলা যাকে সম্পদ দিয়েছেন, ইলম দেননি।
অজ্ঞতার কারণে সে সম্পদের যথেচ্ছ ব্যবহার করে। সম্পদের বিষয়ে আপন রবকে ভয় করে না, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে না এবং তার সম্পদে আল্লাহর হক সম্পর্কে সে সচেতন না। সে হলো সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্তরের মানুষ।
চতুর্থ প্রকার
আল্লাহ যাকে ইলমও দেননি, সম্পদও দেননি।
(তার নিয়ত খারাপ) সে সংকল্প করে, আমার যদি সম্পদ থাকত আমিও তার (তৃতীয় ব্যক্তির) মতো কাজ করতাম। সে মন্দ প্রতিজ্ঞার কারণেই গুনাহগার হবে। তাই উভয়ের গুনাহ সমান। (তিরমিজি, হাদিস : ২৩২৫; মুসনাদে আহমাদ,
হাদিস : ১৮০৩১)
এ হাদিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো সাধ্য না থাকা সত্ত্বেও বিশুদ্ধ নিয়তের কারণে আল্লাহ সক্ষম ব্যক্তির আমলের মতোই সওয়াব দান করেন। সুতরাং বান্দার কর্তব্য হলো, ইখলাসের সঙ্গে আমলের নিয়ত ও চেষ্টা করে যাওয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।