জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার সফিপুরের আলমগীর হোসেন। বয়স ২৫ বছর। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সির নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে মন্ত্রী ও তার বিভিন্ন কর্মসূচির ছবি পোষ্ট করে দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
মন্ত্রীর আইডি হওয়ায় তার গণসংযোগমূলক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত পোস্টে প্রচুর সংখ্যক লাইক কমেন্ট ও শেয়ার হতো। ফলে অনেক সাধারণ মানুষও আসল আইডি হিসেবে বিশ্বাস করতেন। এ সুযোগে মন্ত্রী এবং বেশকিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের নামে ম্যাসেঞ্জারে চেটিংয়ের মাধ্যমে চাকরিসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করিয়ে দেওয়ার কথা বলে নানাজনের কাছ থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে আলমগীরের বিরুদ্ধে।
সিআইডি সাইবার সাপোর্ট সেন্টারে এমন একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়ে পুলিশের বিশেষ এক টিম অনুসন্ধানে নামে। তদন্ত এবং বিশ্লেষণের এক পর্যায়ে এ ঘটনার পুরোপুরি সত্যতা পায় সাইবার টিম। দ্রুত অভিযুক্তের পরিচয় এবং অবস্থান সনাক্ত করা হয়।
পরে গত ২৬ জুন রোববার রাতে সিআইডি সাইবার পুলিশ গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার সফিপুরে অভিযান পরিচালনা করে প্রতারণার কাজে জড়িত থাকার অপরাধে মো. আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
সিআইডি জানায়, আটক যুবক দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রীদের ছবি ও নাম-পরিচয় ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফেক আইডির মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করেছিল।
বাণিজ্য মন্ত্রীর নামে ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন এলাকার চাকরি প্রত্যাশীদের বিশেষ করে মেয়েদের টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় আলমগীর।
অসহায় অনেক ভুক্তভোগীর আস্থা অর্জন করে কৌশলে তাদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে পরবর্তীতে সে সকল ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের ফেক আইডি তৈরি করে গোপন ছবি ও ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তার আলমগীরের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার কাছ থেকে প্রতারনায় ব্যবহৃত চারটি মোবাইল সেট এবং নয়টি সীম উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে সিআইডি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।