ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভেঙে ত্রাণ ও মানবিক বার্তা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’।
এই বহরের সবচেয়ে বড় জাহাজ ‘কনসায়েন্স’-এ থাকা দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, কনসায়েন্স এখন তার আগে রওনা হওয়া অন্য আটটি নৌযানের সঙ্গে যোগ দিয়েছে এবং সবগুলো জাহাজ একযোগে গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
শহিদুল আলম জানান, উচ্চ গতিসম্পন্ন ‘কনসায়েন্স’ নৌযানটি সবার শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। তবে দ্রুতগতিতে এগিয়ে গিয়ে এটি বহরের সামনে থাকা অন্য আটটি নৌযানকে ছুঁয়ে ফেলেছে। এরপর বহরের সংহতি বজায় রাখতে ‘কনসায়েন্স’-এর গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ফ্রিডম কোয়ালিশনের আরও দুটি নৌকার অবস্থান এখনও নিশ্চিত নয়।
এই বহরটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এবং থাউজ্যান্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরের অংশ। এফএফসি হলো ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ যৌথ আয়োজক জোটগুলোর একটি। যদিও পূর্বের ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ উদ্যোগ মাঝপথেই ইসরায়েলি নৌবাহিনী ভেস্তে দিয়েছে, তবুও ফ্রিডম ফ্লোটিলার জাহাজগুলো তাদের লক্ষ্যে অবিচল।
শহিদুল আলম তার পোস্টে লেখেছেন, ‘থাউজ্যান্ড ম্যাডলিনস একটি অবিস্মরণীয় ধারণা। জাতিগত নিধন ঠেকাতে বিশ্বনেতাদের পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়তা এবং কপট ভূমিকার কারণে বিশ্বের জনগণ নিজেরাই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি এই বহরকে ‘নিঃসন্দেহে এভাবে একত্রিত হওয়া সমুদ্রযানের সবচেয়ে বড় বহর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২৫টি দেশের সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মী ‘কনসায়েন্স’ জাহাজটিতে রয়েছেন। গত বুধবার যাত্রা শুরু করা এই সর্বশেষ মিশনের লক্ষ্য ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ তুলে নেওয়া এবং গাজায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। এই জাহাজে কোনো খাদ্যসহায়তা নেই।
গাজার অবরোধ ভেঙে দেওয়ার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে শহিদুল আলম তার পোস্টে লেখেছেন, আমরা কনশানসের মানুষেরা অবরোধ ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা যদি আমাদের আটকায়, তখন অন্যরা এগিয়ে আসবে। দমন–পীড়নকারী কখনোই জনগণের শক্তির বিরুদ্ধে টিকতে পারেনি। ইসরায়েলও ব্যর্থ হবে। মুক্ত হবে ফিলিস্তিন।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল গত দুই বছর ধরে বিদেশি সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে এবং ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭০ জনেরও বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, অনেকে আটক বা কারাগারে বন্দি আছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।