লাইফস্টাইল ডেস্ক : ক্যাফে থেকে রেস্তরাঁ, কন্টিনেন্টাল খাবারের পাশাপাশি আলাদা ভাবেও সকলের মনপসন্দ খাবার হল ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। দক্ষিণ ফ্লোরিডার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকায় মোট উৎপন্ন আলুর ২৫ শতাংশ ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
ম্যাকডোনাল্ডস, যারা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বিক্রির জন্য বিখ্যাত, প্রতি দিন ৯০ লক্ষ পাউন্ড (৪ কোটি ৮২ হাজার ৩৩১ কেজি) ওজনের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বিক্রি করে। এই রিপোর্ট থেকে আরও জানা যায় যে, আমেরিকার প্রত্যেক বাসিন্দা প্রতি বছর ৩০ পাউন্ড (১৩ কেজি) ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খান।
এই সুস্বাদু ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের উৎপত্তি কোথায়? নামের সঙ্গে একটি দেশের নাম জড়িয়ে আছে বলে অনেকে ভাবেন ফ্রান্স থেকেই এই খাবারের উৎপত্তি। আদতে তা সত্যি নয়। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের ইতিহাস জানতে হলে পাড়ি দিতে হবে পশ্চিম ইউরোপের বেলজিয়ামে।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, ১৬৮০ সাল থেকেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের সঙ্গে পরিচিতি ঘটে মানুষের। বেলজিয়ামের নামুর শহর থেকে এর গল্প শুরু। এই শহরের অধিবাসীরা মাছ ভাজা বা ফ্রায়েড ফিশ খেতে খুব পছন্দ করতেন। পার্শ্ববর্তী নদী থেকে মাছ ধরে সেই মাছই ভেজে খেতেন তাঁরা।
কিন্তু শীতের সময় নদীর জল জমে বরফ হয়ে যায়। সেই সময় তাঁরা মাছের বদলে তার বিকল্প খোঁজার চেষ্টা করতে থাকেন। তখনই মাছের বিকল্প হিসাবে আলুর কথা তাঁদের মাথায় আসে। আলু সহজলভ্য। খুব সহজে রান্নাও করা যায়।
নামুরের বাসিন্দারা আলুকে সরু করে কেটে তা তেলে ভেজে রান্না করলেন। ঠিক যেমন তাঁদের প্রিয় খাবার ফ্রায়েড ফিশ রান্না করতেন, অনেকটা সেই ধাঁচে। এই খাবার মুখে দেওয়া মাত্রই তাঁরা অবাক। ফ্রায়েড ফিশকে যেন টেক্কা দিয়ে ফেলেছে আলু দিয়ে তৈরি এই সুখাদ্য।
খাবার তো তৈরি হল। এর নাম কী দেওয়া যায়? এই নিয়ে ধন্দে পড়লেন তাঁরা। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, যে পদ্ধতিতে খাবারটি বানানো হয়েছে সেই অনুযায়ী নাম রাখা হবে আলুর তৈরি এই খাবারের। ভেজে তৈরি করা হয়েছে বলে নামের দ্বিতীয় অংশে যুক্ত করা হল ‘ফ্রাই’। তা হলে ‘ফ্রেঞ্চ’ শব্দটি এসে জোড়ার কারণ কী?
আলুকে সরু করে কেটে তাকে তেলে ভেজে অথবা ওভেনে রান্না করার পদ্ধতিকে ‘ফ্রেঞ্চিং’ বলা হয়। এই পদ্ধতি মেনে রান্না করা হয়েছে বলেই এর নাম দেওয়া হয় ‘ফ্রেঞ্চ ফ্রাই’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।