আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ম্যাকডোনাল্ডসে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভাজতে দেখা গেল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। শুধু তাই নয় লোকজনকে তিনি সেগুলো পরিবেশনও করেছেন। ট্রাম্প কি তাহলে ম্যাকডোনাল্ডসে চাকরি নিলেন? কিছুদিন পরেই যিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি কেন ম্যাকডোনাল্ডসে কাজ করছেন? শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই?
তবে ট্রাম্প ম্যাকডোনাল্ডসে কাজ করেছেন ঠিকই তবে সেটা ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে নয়। তিনি আসলে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবেই ম্যাকডোনাল্ডসে হাজির হয়েছিলেন।
আর মাত্র দু’সপ্তাহ পরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই নির্বাচনী প্রচারণায় বেশ তোড়জোর শুরু করে দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রোববার (২০) কমলা হ্যারিস দুটি গির্জা পরিদর্শনে যান। অপরদিকে ট্রাম্প গিয়েছিলেন ফাস্ট ফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডসে। মার্কিনিদের কাছে ম্যাকডোনাল্ডসও খুবই জনপ্রিয় জায়গা।
এর আগে কমলা হ্যারিস জানিয়েছিলেন যে, কলেজে পড়াশোনার সময় তিনি ম্যাকডোনাল্ডসে কাজ করেছেন। তাকে খোঁচা দিতেই ট্রাম্প ম্যাকডোনাল্ডসে গিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্পের দাবি, কমলা মিথ্যা বলেছেন। তার দাবি সেখানে কাজ করার বিষয়ে কমলা যা বলেছেন তা মিথ্যা।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরে ম্যাকডোনাল্ডসের ভেতরে প্রবেশ করে পরনের স্যুট খুলে ফেলেন ট্রাম্প। এরপর ম্যাকডোনাল্ডসের কালো এবং হলুদ রঙের অ্যাপ্রোন পরে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভাজতে শুরু করেন। তিনি বলেন, তার সারাজীবন এমন কিছুই করার ইচ্ছা ছিল।
এরপর তিনি সেখানে থাকা সাংবাদিকদের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পরিবেশন করেন। সে সময় তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে মিথ্যাবাদী উল্লেখ করে বলেন, ম্যাকডোনাল্ডসে তার ১৫ মিনিট ধরে কাজ করার অর্থ হচ্ছে তিনি সেখানে কমলার চেয়েও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন। অপরদিকে কমলা হ্যারিসের প্রচারণা শিবির বলছে, ট্রাম্প মরিয়া হয়ে উঠেছেন এবং তিনি জানেন কিভাবে মিথ্যা বলতে হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।