লাইফস্টাইল ডেস্ক : রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ নেই এমন ঘর খুঁজেই পাওয়া যাবে না। সবজি, ফল এবং মাছ-মাংস দীর্ঘদিন ভালো রাখতে ফ্রিজের জুড়ি নেই। এই যন্ত্র সারাক্ষণ চলে। তাই বিদ্যুৎ খরচও অনেক। অনেকে মনে করেন ফ্রিজে বেশি বেশি মালপত্র রাখলে বিদ্যুৎ খরচও বেশি হয়। অথচ হিসাবটা উল্টা। বরং ফ্রিজ খালি থাকলেই বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
বিদ্যুতের বিল বেশি আসছে বলে তো ফ্রিজ ব্যবহার করা বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ফ্রিজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কয়েকটি উপায় মেনে চললে সারা দিন ফ্রিজ চালিয়েও কম আসবে বিদ্যুতের বিল।
অনেকের ধারণা, ফ্রিজে বেশি জিনিসপত্র রাখলেই বুঝি বিল বেশি ওঠে। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। ফ্রিজের ভেতরে জায়গা ফাঁকা থাকলে তাপমাত্রা ধরে রাখার ক্ষমতাও তত কমে যাবে। তাই ফ্রিজ খালি অবস্থায় না চালানোই ভালো। এতে বিল বেশি ওঠে। ফ্রিজে পর্যাপ্ত খাবার রাখুন। তবে ফ্রিজে খাবারগুলো এমন ভাবে রাখুন যেন যথেষ্ট বাতাস চলাচল করতে পারে।
প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিজের তাপমাত্রা নির্ধারণ করুন
আবহাওয়া এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিজের তাপমাত্রা ঠিক করুন। শীত আর গরমে ফ্রিজের তাপমাত্রা একই হবে না। গরমে ফ্রিজের তাপমাত্রা বাড়িয়ে রাখতে পারেন। তবে মাঝেমাঝে ফ্রিজ ঠান্ডা হয়ে গেলে কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ করে দিতে পারেন
ফ্রিজ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস বার করে নিয়ে অনেকেই ফ্রিজের দরজা বন্ধ করতে ভুলে যান। এটি একদমই ঠিক নয়। ফ্রিজের দরজা খুলে রাখলে ভেতরের ঠান্ডা বের হয়ে যায়। ফলে কম্প্রেসারের উপর চাপ পড়ে। ফ্রিজ নিজেকে ঠান্ডা রাখার জন্য বাড়তি বিদ্যুত খরচ করে।
গরম খাবার ফ্রিজে রাখবেন না
তাড়াহুড়ায় অনেকেই গরম খাবার ফ্রিজে ঢুকিয়ে নেন। ফ্রিজে খাবার ঢোকানোর আগে ঠান্ডা করে নিন। গরম খাবার ফ্রিজে ঢোকালে সেটা ঠান্ডা করতে কম্প্রেসরের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। ফলে বাড়তি বিদ্যুতও খরচ হয়।
অনেকের বাড়িতে কোনও দরকার ছাড়াও অনেক সময়ে ফ্রিজ চালানো থাকে। ফ্রিজে রাখার মতো কোনও খাবার বা শাকসব্জি না থাকলে ফ্রিজ বন্ধ করে রাখুন। এতে কিছুটা হলেও বিদ্যুতের বিল কম উঠবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।