বিনোদন ডেস্ক : অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবনে বেজে উঠেছে ভাঙনের সুর! বেশ কিছু দিন ধরে শোনা যাচ্ছে— বচ্চন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার মনোমালিন্যের খবর। কিন্তু কেন এই ভাঙনের অশনি সংকেত সেটি নিয়ে কোনো কথা বলেননি বচ্চন পরিবারের কেউ।
তবে টাইমস ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ঐশ্বরিয়া ও অভিষেকের বিচ্ছেদ গুঞ্জনের শুরু হয়েছিল একটি কাবাডি লিগের ম্যাচ থেকে। সেই ম্যাচের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে দেখা গিয়েছিল ঐশ্বরিয়া অভিষেকের প্রতি চরম বিরক্ত। এ ছাড়া তার পর থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অভিষেকের ভাইঝি নভ্যা নাভেলি নন্দা এবং ঐশ্বরিয়াকে একই ফ্রেমে আর দেখা যায়নি।
তারা একই ফ্রেমে একসঙ্গে পোজ দেওয়া এড়িয়ে যেতেন। এমনকি যখন এই জুটি প্যারিস ফ্যাশন উইকে একই ব্র্যান্ডের জন্য র্যাম্পে হাঁটলেন, তখনো তারা একে অন্যের চেয়ে দূরে দূরে ছিলেন।
তার পর নিজের ৫০তম জন্মদিন একাই কাটিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুকনো মুখেই স্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দায় সেরেছিলেন জুনিয়র বচ্চন।
এর পরই খবর পাওয়া যায়, ‘বৌরানি’ ঐশ্বরিয়াকে নাকি ইনস্টাগ্রামে আনফলো করে দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। এ ছাড়া শ্বেতা বচ্চনও নাকি ঐশ্বরিয়াকে আনফলো করে দিয়েছেন।
এর পর দীপাবলির পূজাতেও বচ্চন পরিবারে হাজির ছিলেন না তিনি। এ ছাড়া মেয়ের নামে তার প্রথম বাংলো ‘প্রতীক্ষা’ও লিখে দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন।
শোনা যায়, তার পর নাকি দূরত্ব আরও বাড়ে। ঐশ্বরিয়ার ননদের ছেলে অগস্ত্য নন্দার প্রথম ছবি ‘দি আর্চিজ’-এর অনুষ্ঠানে বচ্চন পরিবারের সঙ্গে দেখা যায় ঐশ্বরিয়াকে।
তবে ভক্তদের কাছে সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় হয়, যখন দিনকয়েক আগে এক অনুষ্ঠানে অভিষেকের হাতে দেখা যায়নি বিয়ের আংটিও।
যদিও অভিষেক বা ঐশ্বরিয়া কারও কাছ থেকেই বিচ্ছেদের আভাস পাওয়া যায়নি, তার পরও দুই-দুইয়ে চার মিলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন অনেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।