লাইফস্টাইল ডেস্ক : কর্মব্যস্ত জীবনে বদলে যাচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। সময় স্বল্পতার কারণে অনেকেই এখন বিভিন্ন অনলাইন গ্রোসারি প্ল্যাটফর্ম থেকে ফ্রোজেন খাবার কিনতে অভ্যস্ত। দীর্ঘ সময় ধরে নাশতা বা খাবার তৈরি থেকে ঝামেলামুক্ত থাকতে জনপ্রিয় হচ্ছে ফ্রোজেন খাবার।
রান্না করা খাবার বহুদিন রান্নাঘরে ফেলে রাখলে সেই খাবারে ছত্রাক জন্মে যায়, খাবার নষ্ট হয়ে যায়। তবে রেডি টু ইট ফ্রোজেন ফুডের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটে না। সসেজ, সালামি, নাগেটস, ফিশ ফিলে কিংবা প্রি-কাট মাছ বা মাংস সবই এখন পাওয়া যায়। তবে এই খাবারে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান শরীরের ক্ষতি করতে পারে। আরও বেশ কিছু কারণে ফ্রোজেন ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ফ্রোজেন ফুড খেলে খুব দ্রুত হারে ওজন বাড়তে পারে। হৃৎপিণ্ডের জন্যও এই ধরনের খাবার খুব একটা ভালো নয়। ফ্রোজেন ফুডের মধ্যে থাকা ফ্যাট হৃৎপিণ্ডের ধমনিগুলি অবরুদ্ধ করতে পারে। তাছাড়া এর মধ্যে উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম থাকার কারণে এটি রক্তচাপ বাড়াতে পারে।
পুষ্টিবিদরা অনেকেই বলেন, এই ধরনের ফ্রোজেন ফুডে ফুড প্রিজারভেটিভ, রং কিংবা ফ্লেভার যোগ করা থাকে যার ফলে এর শেলফ লাইফ অনেক বেশি থাকে।
অনেক পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফ্রোজেন ফুডের মধ্যে থাকে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট যা একপ্রকার স্বাদবর্ধক। তবে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
খোলামেলা দৃশ্যে ভরপুর এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্রোজেন ফুডের মধ্যে থাকা মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট খাবারের স্বাদ বাড়ায়। তবে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এই ধরনের ফ্রোজেন ফুড। এ কারণে নিয়মিত এ ধরনের খাবার খেলে সহজেই শর্করা বেড়ে যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।