জুমবাংলা ডেস্ক: এখন চলছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। আম, লিচু, আনারস, জামরুল, কলা ও তরমুজসহ রসালো দেশি ফলে ভরপুর দেশের বাজার। রাজধানী ঢাকাতে দেখা গেছে একই চিত্র। মৌসুমি ফলে ছেয়ে গেছে মহানগরীর ফলবাজার। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে আম ও লিচু। পাশাপাশি রয়েছে আনারস, কলা, ডালিম, আনার মালটা, আপেলসহ বেশ কয়েকটি ফল।
আড়তদাররা বলছেন, ভোর এসব ফলের বেচাকেনা হয় সবচেয়ে বেশি। এ সময় পাইকাররা ভিড় করেন আড়তে, বিক্রিও হয় বেশ ভালো। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজধানীতে আসা এসব ফল পাইকাররা নিয়ে যাচ্ছেন ভোক্তাদের কাছে।
সোমবার (২৩ মে) রাজধানীর সদরঘাটের বাদামতলী, লালকুঠি, সদরঘাট বাজারে আড়তদার ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যায়।
করোনার কারণে গত দুই বছর আড়তদার ও পাইকাররা সংকটে থাকলেও এবার তা কাটিয়ে উঠতে ব্যস্ত পুরান ঢাকার বাদামতলী ফলের আড়তদাররা।
বাদামতলীসহ আশপাশের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে আম ও লিচু। ভোরে এসব ফলের বেচাকেনা হয় সবচেয়ে বেশি। এ সময় পাইকাররা ভিড় করেন আড়তে, বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজধানীতে আসা এসব ফল পাইকাররা নিয়ে যাচ্ছেন ভোক্তাদের কাছে।
সাতক্ষীরা মেহেরপুরের গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ ও হিমসাগরসহ বিভিন্ন জাতের আম আসছে রাজধানীর পুরান ঢাকার বাদামতলী বাজারে। এসব আম বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৫ থেকে ৭০ টাকায়। ভোর থেকে বেলা ১১টা নাগাদ প্রায় সব আমই বিক্রি হয়ে যায়।
প্রায় প্রতি দোকানে আমের পাশাপাশি লিচু দেখা গেছে। দোকানির সঙ্গে কথা বলে জানা যায় রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা থেকে এসব লিচু আসছে পুরান ঢাকার বাদামতলী, লালকুঠি ও সদরঘাট বাজারগুলোতে। লিচু বিক্রেতা সাইদুল ইসলাম বলেন, বোম্বাই ও আটি লিচু বিক্রি হচ্ছে। ৫০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২০০০ থেকে ২১০০ টাকায়।
লালকুটি ঘাটের আড়তদার মো. কবির হাওলাদার বলেন, আমের বিক্রি শুরু হয়েছে। বেশভালোই বিক্রি চলছে। গত কয়েক দিন আনারস বিক্রি করেছি অনেক। এখন লিচু ও আমের বিক্রি বেড়েছে। বিভিন্ন বাজার থেকে পাইকাররা আমি ও লিচু কিনতে আসছেন।
আম ও লিচুর পাশাপাশি কলা, আনারস, মালটাসহ বেশকিছু ফলের বিক্রি বেড়েছে বাজারে। আনারসের মৌসুম প্রায় শেষের দিকে বলেও জানান বিক্রেতারা। রাঙ্গামাটি থেকে আসা জলডুবি আনারস ১০০টা বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকায়। মাল্টা ও আপেল বিক্রি হচ্ছে আগের চেয়ে কিছুটা কমমূল্যে। আগে যেখানে এক ক্যারেট আপেল ২৮০০ থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হতো, এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকায়। আর মালটা আগের চেয়ে ক্যারেট প্রতি ২০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকায়।
অনুমতি ছাড়া স্বর্ণের ব্যবসা, বিএসইসির উদ্দেশে যা বলল সাকিবের প্রতিষ্ঠান
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।