জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৭ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তিন সমন্বয়ক ও একজন সহ-সমন্বয়ক রয়েছেন। এই চার জন ছাত্রশিবিরের প্রকাশিত কমিটির বিভিন্ন পদে রয়েছেন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহী কলোনি মসজিদের বিপরীতে শহীদ জোবায়ের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জোবায়ের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ১৭ সদস্য বিশিষ্ট ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২৪ দফা দাবি দিয়ে প্রকাশ্যে আসেন শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি নাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইব্রাহীম।
পূর্ণাঙ্গ কমিটির কমিটির সদস্যরা হলেন- সভাপতি নাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইব্রাহীম, বাইতুল মাল (অর্থ) ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, অফিস সম্পাদক মুহাম্মদ পারভেজ, শিক্ষা সম্পাদক হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম, মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ, সহকারী মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ, সাহিত্য সম্পাদক রবিউল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সাঈদ বিন হাবিব, আইটি সম্পাদক এস এম ফাহিম, প্রকাশনা ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, এইচআরএম আফনান হাসান ইমরান, স্কুল ও কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক (আবাসিক) ইয়াসিন মুহা. মুজতাহিদ, ছাত্র আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ইসহাক ভূঁইয়া, পাঠাগার সম্পাদক দ্বীন ইসলাম, বিজ্ঞান সম্পাদক আমির হোসাইন এবং সহ-স্কুল ও কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক (আবাসিক) মোশারফ হোসেন সোহাদ। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তিন সমন্বয়ক হলেন- মোহাম্মদ আলী, ইসহাক ভূঁইয়া, মুজাহিদুল ইসলাম ও সহ-সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ খালেদ।
মতবিনিময় সভায় ছাত্রশিবিরের চবি শাখার সভাপতি নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রশিবির সহাবস্থানের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা চাই সবাই তার স্বাধীন মত প্রকাশ করুক। সবাই নিজের আদর্শের ভিত্তিতে দল নির্বাচন করুক। ছাত্রশিবিরের আদর্শ কারও কাছে ভালো লাগলে সে আমাদের এখানে আসতে পারে। ছাত্রশিবির কখনও জবরদস্তিমূলক রাজনীতি করেনি, করবেও না।’
ছাত্রশিবিরের কমিটিতে পাঁচ সমন্বয়ক থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যক্রম শুরু করি, তখন সবাইকে ডেকেছি। এর মধ্যে যারা সাহস করে সামনে এসেছেন তাদের আমরা সম্পৃক্ত করেছি। একসঙ্গে আন্দোলন করেছি। এখন যে যার রাজনৈতিক দলে ফিরে যাচ্ছে। এটাকে আমরা স্বাভাবিকভাবেই দেখছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।