জুমবাংলা ডেস্ক : টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানিতে ক্রমেই ফুঁসে উঠেছে কুমিল্লার গোমতী নদী। ইতোমধ্যে প্রায় চার হাজার হেক্টর এলাকার ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি ও ঢলের পানি ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। দ্রুতই দুকূল ছাপিয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জেলা প্রশাসনকে রেড অ্যালার্ট জারি করতে বলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০টা পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার ৭১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পানি আরও বাড়তে পারে। বাঁধ রক্ষায় সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, পাউবো, উপজেলা প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা কাজ করছে। পানির লেভেল আরও বাড়তে পারে। বাঁধের বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অংশ দিয়ে বুধবার থেকে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। এ ধরনের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।
রেড অ্যালাটেরর পরামর্শ
প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান আরও বলেন, জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি রেড অ্যালার্ট জারি করতে। কারণ যে কোনো সময় দুর্ঘটনা হতে পারে। নদীতে ক্রমাগত পানির লেভেল বেড়েই চলেছে।
কুমিল্লা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কুমিল্লা জেলায় ৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যাদুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
কম মূল্যে দুর্দান্ত ফিচার, বাজার কাঁপাতে আসছে নোকিয়ার নতুন স্মার্টফোন
এদিকে,টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে ডাকাতিয়া ও কাঁকড়ী নদীর পানি বেড়ে গিয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট উপজেলাসহ অধিকাংশ এলাকার ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি, পশুপাখির খামার ভেসে যাওয়াসহ, চলাচল ব্যবস্থা চরমভাবে বাঁধাগ্রস্থ হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।