জুমবাংলা ডেস্ক : আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর গাবতলীর পশুর হাটে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশি-বিদেশি খাসি। কোরবানির ঈদের বাকি মাত্র চার দিন।
আস্তে আস্তে জমতে শুরু করেছে দেশের পশুর হাটগুলো। তবে গতবছরের তুলনায় এবারের হাটে এখনও পর্যন্ত সেই পরিমাণে বেচা-কেনা শুরু হয়নি।
তবে ক্রেতা ও বিক্রেতারা আশা করছেন আগামী দুই/এক দিনের মধ্যেই পশুর হাটগুলো জমে উঠবে। তবে গতবছরের তুলনায় এবারের কোরবানির পশুর দাম একটু বেশি বলে দাবি করছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতারা দাবি করছেন চার দিন পর ঈদ। কিন্তু এখনও হাট জমেনি, তাহলে পশু বেচা-কেনা আর কবে হবে।
দেশের সবচেয়ে বড় পশুর হাট হলো গাবতলী। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সরেজমিনে গাবতলী পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র, প্রতি বছর ছাগল বিক্রি করা হয় আস্ত দাম ধরেG কিন্তু এবার বেপারি ও খামারিরা তা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৫০০ টাকা দরে। আবার ৩০ কেজির ওপরে গেলে দিতে হবে ১০০ টাকা বেশি। মিরপুর-১১ নম্বর থেকে মা-বোন ও ছেলেমেয়েকে নিয়ে মোসাম্মৎ মণি (৩২) গাবতলীর হাটে ছাগল কিনতে এসেছেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় খাসির মাংস। আমি কেজি প্রতি ৫০০ টাকা দরে দুটো খাসি (৪৭ কেজি ওজন) কিনেছি। পশু দুটি জবাই করার পর রক্ত, চামড়া, ভুড়ি বাদ দিয়ে যা থাকবে তাতে ভালো লাভ হবে।
খাসি দুটি কত দিয়ে কিনেছেন জানতে চাইলে ওই নারী জানান, ২৩ হাজার ৫০০ টাকায় দুটো খাসি কিনেছি। গাবতলীর হাটে ছাগল বিক্রি করতে এসেছেন বেপারি মো. কাঞ্চন সরদার।
তিনি বলেন, আমি প্রতি বছরই খাসি বিক্রি করি। তবে বিশেষ দিন এলে একটু বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে। এবছর ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রতি কেজি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। ৩০ কেজির ওপরে গেলে দাম পড়বে ৬০০ টাকা করে। সকাল থেকে ২০টি খাসি বিক্রি করেছি। ঈদের দিন পর্যন্ত এভাবেই বিক্রি করতে পারব। তবে ১০ থেকে শুরু করে আমার কাছে ১০০ কেজি পর্যন্ত খাসি আছে। গতবারের থেকে এবারের খাসির দাম একটু বেশি। আমরাও কিনেছি বেশি দামে। গোখাদ্যের প্রচুর দাম বেড়ে যাওয়ায় কোরবানির গরু ও খাসির দাম একটু বেশিই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।