জুমবাংলা ডেস্ক : ধারদেনা ও প্রবাসী একজনের দেওয়া ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়ে গফুর আলী ফকির (৬০) এক সপ্তাহ আগে মাসিক ১০ হাজার টাকা কিস্তিতে ক্রয় করেন দেড় লাখ টাকা মূল্যের একটি ইজি বাইক। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রীবেশী প্রতারকের খপ্পরে পড়ে তিনি খুইয়েছেন আয়ের একমাত্র সম্বল ইজি বাইকটি। এতে দিশাহারা হয়ে গফুর আলী ফকির (৬০) চিৎকার করে বলেন, ‘আমার গাড়ির (ইজি বাইক) লগে যদি আমারেও মাইর্যা তইয়া যাইতো তাও ভালা অইতো, অহন আমি কি খাইয়াম, আর কিস্তিই বা কিবায় দিয়াম?’ এই বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। স্থানীয় জনতার কোনো সান্ত্বনাই কাজে আসছিল না।
গতকাল শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা পরিষদের আনসার-ভিডিপি অফিসের পাশে ঘটনাটি ঘটে।
গফুর আলী ফকির জানান, তাঁর বাড়ি নান্দাইল উপজেলার কাটলিপাড়া গ্রামে। দিনমজুর করে এত দিন সংসার চালালেও বিভিন্ন রোগের কারণে এখন গতর কাটানো সম্ভব হচ্ছিল না তাঁর। এ অবস্থায় কিছুদিন বেকার বসে থাকলেও সংসার না চলায় প্রতিবেশী প্রবাসী একজনের কাছে সাহায্য চাইলে তিনি প্রবাস থেকে ৪০ হাজার টাকা পাঠান।
এর সঙ্গে আরো ১০ হাজার টাকা ধার করে ৫০ হাজার টাকা জমিয়ে স্থানীয় একটি শোরুম থেকে দেড় লাখ টাকা মূল্যের ইজি বাইক মাসে ১০ হাজার টাকা কিস্তিতে পরিশোধের শর্তে এক সপ্তাহ আগে ইজি বাইকটি নেন।
গফুর জানান, প্রতিদিনের মতো তিনি খুব ভোরে বাড়ি থেকে ইজি বাইক নিয়ে বের হন। শুক্রবার সকালে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুজন যাত্রীবেশে ইজি বাইকে ওঠে। উপজেলা পরিষদের পেছনে একটি বাসায় যাবেন বলে ৫০ টাকা ভাড়া ঠিক করে গন্তব্যে আসে।
পরে সেখানে এসে একজন নেমে যায়। কিছুক্ষণ পর ইজি বাইকে বসে থাকা ব্যক্তির কাছে মোবাইল করে জানায় তাঁকে (ইজি বাইক চালক) একটু পাঠানোর জন্য। সরল বিশ্বাসে তিনি কিছুদূর গেলেও কারো কোনো সন্ধান না পেয়ে ফিরে এসে দেখেন তাঁর ইজি বাইক নেই।
এ ঘটনার পর গফুর আলী সব জায়গায় খোঁজ করেও কোনো হদিস পাননি ইজি বাইকের। পরে থানায় গিয়ে ঘটনা জানালে পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে।
তদন্ত কর্মকর্তা ও নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুস সালাম জানান, ইজি বাইক মালিকের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে অধিকতর তদন্ত করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।