জুমবাংলা ডেস্ক : গাইবান্ধা শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরের রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের ফয়জার মিয়ার উদ্ভাবিত ‘পোড়া চা’ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। ভিন্ন স্বাধের এই চায়ের স্বাদ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন পিপাসুরা। চা তৈরিতে প্রতিদিন তার লাগে ৬ থেকে ৭ মণ দুধ, প্রায় ১ মণ চিনি ও আধা মণ চা পাতা।
ফয়জার মিয়া বলেন, প্রতিদিন ৭ মণ দুধের সঙ্গে ১ মণ চিনি জাল দিয়ে ৪ মণ ঘন দুধ তৈরি করা হয়। পরে তাতে চা পাতা দেওয়া হয়। অন্যদিকে আরেকটি চুলায় মোটা তাওয়ার ওপর উত্তপ্ত আগুনে পোড়ানো হয় মাটির পেয়ালা। পরে সেই পেয়ালায় গরম চা ঢেলে পরিবেশন করা হয়। তাতে ঘন দুধ, চা পাতা আর মাটির পোড়া গন্ধে তৈরি হয় ভিন্ন স্বাদ। দোকান ঘর এবং রাস্তার পাশে বাঁশের বেঞ্চে বসেই চা পান করছেন লোকজন।
ফয়জার মিয়া জানান, ৩৫ বছর ধরে চায়ের দোকান করেন। কিন্তু এই ‘পোড়া চা’ বিক্রি করেছেন ১ বছর ধরে। প্রথমে এত খদ্দের ছিল না। এখন মুখে মুখে চায়ের সুনাম ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছেন। সকাল ৮টা থেকে চা বিক্রি শুরু হয়। তা চলে মধ্য রাত পর্যন্ত। তবে বিকালের দিকে খদ্দেরের বেশি ভিড় থাকে। প্রতি কাপ চা বিক্রি হয় ২৫ টাকা করে। যার নাম ‘পোড়া মালাই চা’। পাশাপাশি ‘পোড়া চা’ ১৫ ও ১০ টাকা দামেও বিক্রি করেন ফয়জার। সাতজন কর্মচারী দোকানে কাজ করছেন।
শাহরুখের ঠোঁটে কামড় বসাতে চান সুন্দরী যুবতী ভক্ত, যা বললেন অভিনেতা
গাইবান্ধা শহর থেকে চা পান করতে আসা মজিবর রহমান বলেন, লোকমুখে শুনে এসেছি। ঘন দুধ, চা পাতা, পোড়া মাটির গন্ধে নতুন স্বাদ পেলাম। গরম মাটির পেয়ালা টিস্যু পেপার বা রুমালে জড়িয়ে ধরে চায়ে চুমুক দিতে হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।