আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ ১৫ মাস পর ২০ জানুয়ারি গাজায় শান্তির প্রথম পূর্ণ দিবস ছিল। উদ্ধারকর্মী এবং বেসামরিক নাগরিকরা উপত্যকায় ধ্বংসের মাত্রা দেখতে করতে শুরু করেছেন।
গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, তারা আশঙ্কা করছে যে ধ্বংসস্তূপের বিশাল সমুদ্রের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি মৃতদেহ চাপা পড়ে আছে।
মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, তারা ১০০ দিনের মধ্যে মৃতদেহ উদ্ধার করার আশা করছেন, কিন্তু বুলডোজার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ঘাটতির কারণে তা বিলম্বিত হতে পারে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের অনুমান, ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজায় ৪৬ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
চলতি মাসে মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতের যে সংখ্যা প্রকাশ করেছে বাস্তবে নিহতের সংখ্যা তার চেয়েও ৪০ শতাংশ বেশি হতে পারে।
সোমবার গাজা সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সংঘর্ষের সময় তাদের নিজস্ব ৪৮ শতাংশ কর্মী নিহত, আহত বা আটক হয়েছেন এবং তাদের ৮৫ শতাংশ যানবাহন এবং ২১টি স্থাপনার মধ্যে ১৭টি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
জাতিসংঘ পূর্বে অনুমান করেছিল যে গাজাজুড়ে ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) অনুসারে, যুদ্ধের ফলে গাজার ২০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন, তাদের আয় নেই এবং বেঁচে থাকার জন্য তারা সম্পূর্ণরূপে খাদ্য সহায়তার উপর নির্ভরশীল। সূত্র: বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।