জুমবাংলা ডেস্ক : গণভবনকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, “ গণভবনকে জাদুঘর হিসেবে রূপান্তরের জন্য ইতোপূর্বে পৃথিবীতে আপনারা জানেন যে সাউথ কোরিয়ায় মেইড ইন মেমোরিয়াল প্রতিষ্ঠা হয়েছিল একটি গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে তার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য। পৃথিবীতে আরো বিভিন্ন জায়গায় এরকম হয়েছে সেখান থেকে তাদের যে অভিজ্ঞতা সেটি নিব”।
“কিভাবে একটি সুন্দর জাদুঘর এবং কিভাবে ফ্যাসিবাদী সময়ের অত্যাচারের যে স্মৃতি এবং আমাদের শহীদদের স্মৃতি কিভাবে সংরক্ষিত করে একটি সুন্দর জাদুঘর করা যায় এ বিষয়ে খুব দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া হবে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ কাজটি সম্পন্ন করবে” বলেও জানান উপদেষ্টা মাহমুদ।
একইসাথে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয়ে মি. মাহমুদ বলেন, “দলের বিচারের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয় নি। বিচারের যে বিষয়টা সেটা আইন মন্ত্রণালয় দেখছে। আইন মন্ত্রণালয় খুব দ্রুতই একটা সুস্পষ্ট রূপরেখা যে বিচারটা কিভাবে হবে সেটা সবার সামনে উত্থাপন করবে”।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ প্রশ্নটা দেশের জনগণ ডিসাইড করবে। যেহেতু একটা গণহত্যা আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে এ দেশে। সেই গণহত্যার দায় নিয়ে তারা কিভাবে ফিরবে বা তাদেরকে ফিরতে দেয়া হবে কিনা এটা জনগণ ডিসাইড করবে, এটা জনগণের সিদ্ধান্ত”।
এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দোসরা সেপ্টেম্বর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় গণভবনের জায়গায় গণহত্যা মিউজিয়াম তৈরির কথা বলেছিলেন।
ওই ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, অভ্যুত্থানে শহীদ এবং গুম হওয়া মানুষদের স্মৃতিগুলো এই মিউজিয়ামে সংরক্ষিত থাকবে। অবৈধ ক্ষমতায় থাকার জন্য বাংলাদেশে আর কোনো শাসক যাতে হাসিনার মতো বর্বরোচিত পথ অনুসরণ না করে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই মিউজিয়াম সেই বার্তাই বহন করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।