আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসির জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা করার অনুমতি দিয়েছে সেখানকার একটি আদালত। মন্দিরের ওপর প্রাচীন এই মসজিদ নির্মিত হয়েছে বলে হিন্দুদের দাবির পর কিছুদিন আগে মসজিদটির বেসমেন্ট সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিল।
বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে বারানসির আদালত হিন্দুদের এক পিটিশনের শুনানি শেষে মসজিদের বেসমেন্টে পূজা করার অনুমতি দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে।
আদালতের বিচারক আগামী সাতদিনের মধ্যে মসজিদে বসানো প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং হিন্দুদের উপাসনার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, পার্শ্ববর্তী বিশ্বনাথ মন্দিদের পুরোহিতদের নেতৃত্বে জ্ঞানবাপীতে হিন্দুদের পূজা-অর্চনা অনুষ্ঠিত হবে।
আদালতে বারানসির চার হিন্দু নারী জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে উপাসনা করার অনুমতি চেয়ে পিটিশন দায়ের করেছিলেন। তাদের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন বলেন, ‘‘হিন্দু পক্ষকে সেখানে প্রার্থনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনকে সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করতে হবে। সাতদিনের মধ্যে সেখানে পূজা শুরু হবে। সেখানে সবারই প্রার্থনা করার অধিকার রয়েছে।’’
মসজিদটির বেসমেন্টে চারটি তেখানা বা সেলার রয়েছে। এর মধ্যে একটির দখল এখনও এক পুরোহিত পরিবারের কাছে রয়েছে। তারা সেখানে বসবাস করেন। পরিবারটি বলেছে, বংশ পরম্পরায় পুরোহিত পরিবার হিসেবে তাদের সেখানে প্রবেশ এবং পূজা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) মসজিদটিতে আদালতে নির্দেশ জরিপ পরিচালনা করে। পরে সেখানে হিন্দু দেবতার মূর্তির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে বলে জানায় এএসআই। দেশটির এই জরিপসংস্থার প্রতিবেদনে মসজিদটির কাঠামোর কিছু অংশে মন্দিরের স্তম্ভ ব্যবহার করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়।
গত মাসে এলাহাবাদের হাইকোর্ট জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির সব পিটিশন খারিজ করে দেয়। মসজিদ কমিটি সেখানে মন্দির পুনর্নিমাণ কাজকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এসব পিটিশন দায়ের করেছিল। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড ১৯৯১ সালে দায়ের হওয়া মামলার কার্যক্রম বারানসির কোর্ট পরিচালনা করতে পারে কি না, সেই বিষয়েও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। হাইকোর্ট মসজিদ কমিটির সব পিটিশনের শুনানি শেষে খারিজ করে দিয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।