সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জে দুই গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ঘিওর পুলিশ। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই দুই গৃহবধুকে সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণ করে বলে জানায় পুলিশ।। ঘটনার রাতেই পুলিশ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।
ধর্ষণের অভিযোগে সাত জনকে আটকের পরদিন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার একজন গৃহবধু ঘিওর থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো অজ্ঞাত ৩/৪ জনের নামে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর দুপুরের দিকে ঘিওর থানা পুলিশ ধর্ষণের মামলা এন্ট্রি করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার দুই গৃহবধুকে ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, জেলার দৌলতপুর থেকে কাজ সেরে সোমবার সন্ধ্যায় একটি অজ্ঞাতনামা অটোরিক্সা যোগে ওই দুই গৃহবধু ঘিওরের পয়লা মোড় নামক স্থানে উপস্থিত হলে চালক তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। পরে তারা দুজন পায়ে হেঁটে কিছুদূর এগিয়ে আসলে মো. হৃদয় খান (২৩), শহীদ রানা (২৫), শাহ আলম (২৬), রনি মিয়া (২০), ফয়সাল ব্যাপারী (২০), তামিম হোসেন (২৬), সাকিব হোসেন (৩০), হাসান আলী (৪৫), তাদের পথ গতিরোধ করে। পরে তাদের দুজনের কাছে মোবাইল নাম্বার চায়, তারা মোবাইল নাম্বার দিতে অস্বীকার করলে, হৃদয় খান এক গৃহবধুকে থাপ্পড় মেরে ফেলে দেয়, এতে ওই গৃহবধু সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর সে যখন দাঁড়াতে যায় তখন হৃদয় খানের সাথে থাকা অন্যান্য সহযোগীরা তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ সহ স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় এবং জোরপূর্বক তাদেরকে রাস্তার পাশের ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ৭ জনসহ আরও ৩-৪ জন মিলে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার হওয়া দুই নারীর বাড়ী দৌলতপুর উপজেলার খলসি ইউনিয়নে।
এরপর মঙ্গলবার সকালে গণধর্ষণের শিকার ওই দুই গৃহবধুর মধ্যে একজন বাদী হয়ে ঘিওর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(৩)/৩০ তৎসহ ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড রুজু হয়।
এ বিষয়ে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় দুই গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাটি জানতে পারি। এরপর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে রাতেই সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং আসামিদের আদালতে প্রেরণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: কাজী এ কে এম রাসেল জানান, ধর্ষণের শিকার ওই দুই নারীকে হাসপাতালে আনা হয়নি। তবে থানা থেকে তাদের ধর্ষণসংক্রান্ত প্রাথমিক আলামত পাঠিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।