লাইফস্টাইল ডেস্ক : অন্যান্য যানবহনের মতো বিমানেরও বিশেষ ধরনের হর্ন থাকে। বিষয়টি একটু অদ্ভুত শোনালেও অবাস্তব নয়। এই হর্নের শব্দ জাহাজের হর্নের মতোই শোনায়। তবে এখন প্রশ্ন হলো, এই হর্ন তাহলে বাজানো হয় কখন? আকাশে তো যানজট থাকে না। তাহলে কাকে সংকেত দিতে হর্ন বাজানোর প্রয়োজন হয়?
আসলে, একমাত্র গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়াররা যখন ককপিটে থাকেন, তখন গ্রাউন্ড স্টাফদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এই হর্ন ব্যবহার করেন। সামনের ল্যান্ডিং গিয়ারের কাছে এই হর্ন থাকে।
বিমানের ককপিটে যে ইনস্ট্রুমেন্ট প্যানেল থাকে সেখানে ‘জিএনডি’ লেখা একটা বোতাম থাকে। এই বোতাম টিপলেই হর্ন বাজে। অনেকটা জাহাজ বা স্টিমারের হর্নের মতোই আওয়াজ। তবে বিমানে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে সতর্কতামূলক সঙ্কেত হিসেবে এই হর্ন বাজানো হয়। তবে সচরাচর এই হর্ন বাজানোর অনুমতি পাইলটকে দেয়া হয় না।
হর্নের আওয়াজেরও আবার ধরন আছে। এই নানা ধরনের হর্ন শুধু ইঞ্জিনিয়ারদের জন্যই। বিমানের কোথায় কোন সমস্যা হচ্ছে, বা কী সমস্যা হচ্ছে, হর্নের ধরন শুনে তারা বুঝতে পারেন। এক একটি হর্নের সাথে এক এক রকম আলোও লাগানো আছে। কেবিনে কোনও সমস্যা হলে তার জন্য আলাদা হর্ন আছে।
এছাড়া, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিমানের ককপিটেও হর্ন থাকে। নানা রঙের আলোর মাধ্যমে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সাথে যোগাযোগ করেন পাইলটরা। ওই নানা রঙের আলোগুলোকে প্রযুক্তিগতভাবে বিমানের হর্ন বলাও হয়ে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।