আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে একটি বাঘকে গাড়িতে এক ব্যক্তির কোলে বসে যেতে দেখা যাচ্ছে। বাঘটি খুবই শান্তভাবে গাড়ির জানলার বাইরে মুখ বের করে যাচ্ছে। আর বাঘের পাশে বসা ব্যক্তিও এমন দুঃসাহসিক কাজে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন বলে বোঝা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ভাইরাল ভিডিও দেখে নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় কত অদ্ভুদ বিষয়ই না সামনে আসে। পশু-প্রাণী থেকে মানুষ, সকলেই কোনও না কোনওভাবে বিস্ময় তৈরি করে চলেছে। কিন্তু এমন কি কখনও ভেবেছেন, আপনি গাড়িতে যাচ্ছেন আর পাশের আসনে বসে জালনায় মুখ বাড়িয়ে হাওয়া খেতে খেতে চলেছে একটি আস্ত বাঘ! এককথায় বাঘের সঙ্গে ‘লং ড্রাইভ’! খানিকক্ষণের জন্যে শিউড়ে উঠলেও কার্যত এই ধরনের একটি ভিডিওর সাক্ষী হয়েছে নেট দুনিয়া।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। @iger_tigers678 নামে ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি বাঘকে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়েছেন। চালকের পিছনের সিটে বসে বাঘটি জানলা দিয়ে মুখ বের করে বেশ ড্রাইভ উপভোগ করছে। তবে যেভাবে বাঘের পাশে এই ব্যক্তি নির্লিপ্ত এবং শান্তভাবে বসে রয়েছেন তাতে এই অভিজ্ঞতা তার আগেও হয়েছে বলে মনে করছে নেটপাড়া।
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে কিছু অজানা রাস্তায় গাড়ি চলতে দেখা গিয়েছে। ভিডিওতে গাড়িটির পিছনের আসনের বসা ব্যক্তির কোলে বসে রয়েছে বড়সড় একটি বাঘ। তবে শুধু ওই ব্যক্তিই নন, মানুষের কোলে বসে গাড়িতে যেতে বন্য বিড়ালটিও বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে তা বলাই বাহুল্য। কারণ মাত্র কয়েক সেকেন্ডের হলেও বাঘটিকে কোনওভাবে তার সহযাত্রীকে কিংবা চালককে আক্রমণ করতে দেখা যায়নি।
তবে এমন আস্বাভাবিক ভিডিও কারোর আবার হিন্দিতে প্রয়াত স্টিভ আরউইনের অনুষ্ঠানের একটি রূপান্তর বলেও মনে হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানটিতে “কুমির শিকারী” হিসাবে পরিচিত অস্ট্রেলিয়ান চিড়িয়াখানার প্রাণীদের আদর করতেন এবং তাঁর এই দু:সাহসিক কাজের জন্য তিনি বেশ পরিচিত ছিলেন।
ভাইরাল ভিডিওটি ইতিমধ্যে প্রচুর ভিউ পেয়েছে। তবে আবার মানুষের মনে ভিন্ন প্রতিক্রিয়াও দেখা গিয়েছে। অনেকেই বেশ ক্ষুব্ধ মন্তব্য পেশ করেছেন। করোর মতে বাঘের পাশে বসে গাড়ি করে যাওয়া যেমন সাহসী তেমনি আবার মতে আবার এটি বোকামোর পরিচয়। যেমন একজন লিখেছেন,”এই ধরনের কাজটি সম্পূর্ণরূপে বোকামি ছিল।” বিরক্তি প্রকাশ করে আরো এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী কমেন্টে লিখেছেন, “আপনি কি বোকা!আমি আমার কুকুরকে আঘাত বা মারা যাওয়ার ভয়ে এটি করতেও দেব না।” আসলে পোষ মানা হলেও রাস্তার অন্য কারোর উপরে বাঘটি সহজেই আক্রমণ করতে পারে বলে মনে করেছেন নেটিজেনরা। এই প্রসঙ্গেই যেমন একজন লিখেছেন, “ভাবুন যদি বাঘটি গাড়ি থেকে লাফ দেয়।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।