পদ্মা সেতুর কল্যাণে মোংলা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য বিদেশে রফতানি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার বিভিন্ন কারখানার গার্মেন্টস পণ্যবাহী কনটেইনার মোংলায় পৌঁছেছে। এসব পণ্য পোল্যান্ডে যাচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ঢাকা, গাজীপুর, সাভার ও নারায়ণগঞ্জের ২৭টি কারখানার গার্মেন্টস পণ্যবাহী ১৭টি কনটেইনার পদ্মা সেতু হয়ে মোংলা বন্দর জেটিতে পৌঁছেছে। এসব পণ্য বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে পানামার পতাকাবাহী এমভি মার্কস নেসনা জাহাজে বোঝাই করা হচ্ছে।
এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিশুদের পোশাক, জার্সি ও কার্ডিগান, টি-শার্ট, ট্রাউজারসহ বিভিন্ন পণ্য। এসব গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সকালে মোংলা বন্দর ত্যাগ করবে বিদেশি জাহাজ মার্কস নেসনা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের ১৭টি কনটেইনারে ৩৪ টিইউজ গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে জাহাজটি যাবে পোল্যান্ডে। এর আগে এসব পণ্য নিতে সোমবার (২৫ জুলাই) বন্দর জেটিতে আসে বিদেশি জাহাজ মার্কস নেসনা।
গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মোংলা বন্দর ত্যাগ করবে বিদেশি জাহাজ মার্কস নেসনা
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সবচেয়ে বড় চালান হিসেবে পোল্যান্ডে যাচ্ছে ঢাকার এসব গার্মেন্টস পণ্য। এর আগে পদ্মায় ফেরি চলাকালে বন্দর দিয়ে অল্প পণ্য বিদেশে রফতানি হয়েছিল।
মূলত পদ্মায় ফেরি জটিলতার কারণে ঢাকার এসব গার্মেন্টস পণ্যের বেশিরভাগই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বিদেশে রফতানি হতো। পদ্মা সেতুর কল্যাণে মোংলা বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পণ্য রফতানিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ঢাকার ব্যবসায়ীরা। কারণ, সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব এখন ১৭০ কিলোমিটার। আর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ২৬০ কিলোমিটার।
মোংলা বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং দ্রুত ও নিরাপদ হওয়ায় এবং ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমে যাওয়ায় সময় ও অর্থ সাশ্রয়ে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানিতে আগ্রহী হয়েছেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ‘মোংলা বন্দর হয়ে এসব গার্মেন্টস পণ্য রফতানির বিষয়টি একটি স্মরণীয় ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এক মাসের মধ্যে সেতু হয়ে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে গার্মেন্টস পণ্য রফতানির নবযাত্রা শুরু হলো। ভবিষ্যতে আমদানি-রফতানি আরও বাড়বে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।