জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
নিহত নারী শ্রমিক হলেন আঞ্জুয়ারা খাতুন। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার চর নাটিপাড়া গ্রামের মো. জামাল হোসেনের স্ত্রী।
মঙ্গলবার ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে মালিকপক্ষ। তা মেনে নেননি পোশাকশ্রমিকরা। প্রতিবাদে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কোনাবাড়ী কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও বিজিবি সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিতে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এ সময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ‘পুলিশের ছোড়া গুলিতে’ অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হন। এ সময় নারী শ্রমিক আঞ্জুয়ারা খাতুন (৩০) রাবার বুলেটের আঘাতে গুরুতর আহত হন। তাকে সহকর্মীরা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ঢাকায় নেওয়ার পথে আঞ্জুয়ারা খাতুন মারা যান।
এ বিষয়ে আঞ্জুয়ারা খাতুনের স্বামী মো. জামাল হোসেন বলেন, তার স্ত্রীর শরীরে রাবার বুলেট লেগেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আশরাফ উদ্দিন জানান, ‘শ্রমিকরা আঞ্চলিক সড়কগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখেন। ভাঙচুরও চালান। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। আর নারী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।