Gars এর মতো কিছু মাছের প্রজাতি লক্ষ লক্ষ বছর ধরে অত্যন্ত ধীর গতির বিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। 1859 সালে চার্লস ডারউইন এদের “জীবন্ত জীবাশ্ম” হিসেবে উল্লেখ করেন। ’Evolution’ এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় এই অসাধারণ প্রাণীর আণবিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। তাদের জিনোমগুলি ব্যতিক্রমী ডিএনএ মেকআপের কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে অপরিবর্তিত রয়েছে।
জীবিত জীবাশ্ম হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ সমস্ত প্রজাতিকে বোঝানো হয় না। কোয়েলাক্যান্থ, এলিফ্যান্ট হাঙর এবং হোয়াটজিন পাখির মতো কিছু অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীর তুলনায় দ্রুত মিউটেশন হার দেখিয়েছে। গারগুলি তাদের লম্বা, দাঁতযুক্ত স্নাউট এবং বড় আকার দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। তাদের molecular substitution ধীর গতির হওয়ার কারণে সময়ের সাথে সাথে ন্যূনতম জেনেটিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, molecular substitution ধীর গতির হলেও এটি তাদের জেনেটিক মেকআপে একটি অসাধারণ স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। গবেষণায় প্রস্তাব করা হয়েছে যে গারসের অতুলনীয় genetic makeup এর প্রক্রিয়াগুলি তাদের জেনেটিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মিউটেশন বা ক্ষতির পরে দক্ষতার সাথে ডিএনএ মেরামত করে গারগুলি উল্লেখযোগ্য বিবর্তনীয় পরিবর্তনগুলিকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করতে পারে যা অবাক করে দেওয়ার মত।
এই থিওরিকে সার্পোট করে এ ধরনের প্রমাণ পর্যবেক্ষণ থেকে আসে। ওকলাহোমা এবং টেক্সাস জুড়ে নদীগুলিতে পাওয়া এই হাইব্রিডগুলি কেবল কার্যকর নয় বরং উর্বরও। এইরকম বিশাল evolutionary distance সত্যেও কার্যকর সন্তান উৎপাদনের এই অসাধারণ ক্ষমতা গারদের ব্যতিক্রমী জেনেটিক স্থিতিশীলতাকে তুলে ধরে।
গবেষকরা গারসের ডিএনএ মেকআপের প্রক্রিয়া আরও গভীরে অনুসন্ধান করার লক্ষ্য রাখেন। জেব্রাফিশের মতো স্ট্যান্ডার্ড মডেল প্রাণীদের মধ্যে গার ডিএনএ মেরামতের জিন প্রবর্তন করে ও বিজ্ঞানীরা মূল্যবান দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের আশা করছেন। গারস “জীবন্ত জীবাশ্ম” এর আকর্ষণীয় উদাহরণ হিসাবে কাজ করে যা লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনীয় স্থায়িত্বকে তুলে করে। তাদের অনন্য জেনেটিক মেকআপ বিবর্তনের বিদ্যার অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়া সর্ম্পকে অমূল্য দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।