জুমবাংলা ডেস্ক: রমজানের প্রথম দিনেই গ্যাসের সংকটে চুলা জ্বলেনি রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায়। ফলে ইফতারি তৈরিসহ রান্নার কাজে ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীবাসী। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই ইফতারি ও রান্নার কাজ করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে।
জানা গেছে, রাজধানীর জিগাতলা, শ্যামলী, কল্যাণপুর, আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর, কাফরুল, আদাবর, বনশ্রী, রামপুরা, বসুন্ধরা আবাসিক, আজিমপুর, লালবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, গ্রিন রোড, মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, নারিন্দা, ওয়ারিসহ পুরান ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকা। এছাড়া মিরপুর ১, ২ ও ১০ নম্বর এলাকায়ও গ্যাসের সংকটে ইফতারি ও রান্নার কাজ করতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকেই।
এদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৭ দিন অর্থাৎ ১০ এপ্রিল পর্যন্ত এ সমস্যায় পড়তে হবে রাজধানীবাসীকে। রবিবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, বিবিয়ানা ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন হঠাৎ করে সমস্যা তৈরি হওয়ায় তার প্রভাব পড়ে সারা দেশে। বিশেষ করে রাজধানীর গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থায়। শেভরন পরিচালিত এই গ্যাসক্ষেত্রে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আশা করা যাচ্ছে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশের বড় গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে বিবিয়ানা অন্যতম। সেই ক্ষেত্রের ৬টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের যোগানের সংকট তৈরি হয়েছে। আর যার প্রভাব পড়েছে রাজধানী ঢাকায়। সংকট কাটিয়ে গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
সূত্র আরও জানায়, বিবিয়ানার ৬টি কূপ থেকে শনিবার রাতে গ্যাস উত্তোলনের সময় বালি উঠতে শুরু করে। এ কারণে গ্যাস উত্তোলন কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। এ কারণে রাতে প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংকট দেখা দেয়। এর প্রভাব পড়ে সরবরাহ ব্যবস্থায়।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, শেভরন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। সন্ধ্যার মধ্যে একটি কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়েছে। আশা করি সোমবার দিনের মধ্যে সংকট কমে আসবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।