জুমবাংলা ডেস্ক : গ্যাস সংকটের পাশাপাশি শুরু হয়েছে লোডশেডিং। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের কারণে কলকারখানা থেকে শুরু করে বাসাবাড়িতে সৃষ্টি হয়েছে দুর্ভোগ। এমন পরিস্থিতিতে গ্যাস নিয়ে সুখবর দিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
তিনি বলেছেন, ‘ঢাকা এবং চট্টগ্রামে গ্যাসের যে সংকট রয়েছে, আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই তা কমে অনেক ভালো অবস্থায় আসবে। এটা আমাদের জন্য একটি সুখবর।’
আজ রবিবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শীতের সময় গ্যাসের সংকট এমনিতেও থাকে। দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ গ্রাহক এলপিজি ব্যবহার করেন। বাসা-বাড়িতে চুলায় গ্যাসের সংযোগ খুব অল্প। চুলায় গ্যাস ব্যবহার করে ঢাকা এবং এর আশেপাশের কিছু অংশ, ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রামের কিছু অংশের মানুষ। বিস্তীর্ণ এলাকায় আমরা প্রায় সাড়ে সাত লাখ গ্যাসের অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করেছি। তারপরও আবার নতুন করে অবৈধ লাইন চালু হচ্ছে। এর ফলেই একটা বিরাট এলাকায় গ্যাস প্রাপ্তিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।’সব গ্রাহকদের মিটারের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা রয়েছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘এরই মধ্যে সাড়ে চার লাখ গ্যাস মিটার লাগানো হয়ে গেছে।
আমাদের টার্গেট হচ্ছে আগামী তিন বছরের মাথায় সব জায়গায় গ্যাসের মিটার চালু করা। আমরা বহুদিন ধরে চেষ্টা করছিলাম গ্যাস মিটার স্থাপন করতে। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থের জন্য সেটি করতে দেরি হয়েছে। সে সমস্যার এখন সমাধান হয়েছে। আমাদের বিশ্বব্যাংক, এডিবি এবং জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান ফাইন্যান্স করছে। এরইমধ্যে জালালাবাদে ৫০ হাজার মিটার, কর্ণফুলীতে আড়াই লাখ মিটার এবং ঢাকায় সাড়ে ৪ লাখ মিটার লাগানোর কাজ চলছে। আমরা চাইছি এলপিজির পরিধিটা আরও বাড়াতে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এলপিজি এখন বাসা-বাড়ি এবং গাড়িতেও ব্যবহার হচ্ছে। অনেকেই এর দাম কম-বেশি নিয়ে কথা বলেন। আমরা একটি মানদণ্ড ধরে দাম নির্ধারণের একটি প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছি। বিশ্ববাজারে এলপিজির দামের ওপর ভিত্তি করে দেশীয় বাজারে দাম নির্ধারণ হয়। এখন বিশ্ববাজারে দাম কিছুটা কম বলেই বাজারে কিছুটা কম দামে এলপিজি বিক্রি হচ্ছে। আমি সবাইকে আবারও অনুরোধ করব, আপনারা ধৈর্য ধরুন। আমরা শিগগির বাসা বাড়িতে মিটার লাগিয়ে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সংযোগের চেষ্টা করছি।’
কত দিনের মধ্যে এ সংকট সমাধান হবে—এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এ সংকটের সমাধান হবে। এটা আমাদের অনেক আগের একটা পরিকল্পনা। আমাদের প্রায় ২০ লাখ মিটার বসাতে হবে। প্রায় ৫ থেকে ৭ বছর আগে জাইকা আমাদের এ প্রকল্পে ফান্ড দিয়েছিল। এখন নতুন করে অর্থের সম্ভাবনা পাওয়ায় আমরা আবার কাজ শুরু করেছি।’
বিয়ের আগে বিছানায় যাওয়া কি ঠিক? প্রশ্নের জবাবে যা বলেছিলেন অক্ষয়
শীতকালেও লোডশেডিং কেন–জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে গ্যাসের ডিমান্ড প্রায় ৩৮০০ এমএমসিএফডি। আমরা এখন সরবরাহ করতে পারি প্রায় ৩২০০ এমএমসিএফডি গ্যাস। এখানে আমাদের শিল্পকারখানা ও বিদ্যুতের ক্ষেত্রে একটা গ্যাপ থেকে যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন আমাদের গ্যাস না থাকায় পাওয়ার প্লান্ট কিছুটা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এর কারণেই আমাদের কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আশা করছি আজ-কালের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।