আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ২০ ট্রাক পর্যন্ত মানবিক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছেন।
বুধবার ইসরায়েল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাইডেন। এই চুক্তির জন্য মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি ‘অনেক কৃতিত্বের যোগ্য’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এক্ষেত্রে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বলে জানান বাইডেন।
বাইডেন বলেন, ‘ইসরায়েল নির্মম হামলার স্বীকার হয়েছে, কিন্তু সত্যিটা হলো তাদের কাছে এমন লোকদের দুর্দশা থেকে মুক্তি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, যাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘হামাস যদি ত্রাণ দখল করে বা সীমান্ত পার হতে না দেয়…তাহলে ত্রাণের সুযোগ সেখানে এটাই শেষ হতে চলেছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “বুধবার নেতানিয়াহুর সাথে তার বৈঠকের সময় গাজায় মানবিক সহায়তা পাওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তিনি ‘শক্ত অবস্থানে’ ছিলেন।”
বাইডেন জানান, ২০ ট্রাক মানবিক ত্রাণ প্রবেশের জন্য রাফাহ সীমান্ত খুলে দিতে সম্মত হয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার থেকে ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় ঢুকতে পারবে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইতিমধ্যে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে, পানি, খাবার, জ্বালানি ও জীবনরক্ষাকারী সামগ্রী প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অবরোধে গাজায় শুধু খাবার, পানি ও জ্বালানি নয়, সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইতিমধ্যে ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তাদের জন্য মাত্র ২০ ট্রাক ত্রাণ সেখানকার মানবিক পরিস্থিতির উন্নতিতে খুব একটা কাজে আসবে না। কিন্তু যেহেতু ত্রাণ সরবরাহের শুরুটা হচ্ছে, তাই আশা করা যাচ্ছে, সামনে আরও ত্রাণের ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে। ত্রাণের উদ্বোধনী চালানটি কেবল একটি একক ঘটনা হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।