আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় লাগাতার বিমান হামলার মধ্যেই সপ্তম দিনে গড়ালো হামাস ইসরায়েল সংঘাত। বুধবার রাতে গাজার উত্তরাঞ্চলে মাত্র এক ঘণ্টায় মধ্যে ৩০টি বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা ১৫শ’ ছাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে দুই পক্ষের মারা গেছে ২৮শ’র বেশি মানুষ। এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলা অব্যাহত থাকলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার সতর্কবার্তা দিয়েছে ইরান।
সূর্য ডুবলেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে ডুবে যায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা। খাবার ও পানির তীব্র সংকট থাকা বাসিন্দাদের একমাত্র আলোর উৎস যেন আকাশ থেকে পড়া ইসরায়েলি বোমার ঝলকানি। গত ছয় দিনে ৩৬৩ বর্গকিলোমিটারের গাজায় ছয় হাজারের বেশি বোমা নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। যার ওজন চার হাজার টন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ৫শ’ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩শ’ নারী। বাস্তুচ্যুতের সংখা ৪ লাখ ২৩ হাজারের বেশি। নিহতের নিহতের সংখা ক্রমশই বেড়ে চলছে।
এদিকে হু হু করে হতাহতের সংখ্যা বাড়ায় চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা। এ অবস্থায় গাজার ৫০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা নারী প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা এবং সুপেয় পানি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের প্রতি সংহতি জানাতে শুক্রবার ইসরায়েল সফরে যাবেন ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন। একই দিন তেল আবিব পরিদর্শন করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনও।
ফ্রান্সে ফিলিস্তিনের সমর্থনে সব ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে দেশটির পুলিশ। ইহুদিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ–সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে জার্মানির বার্লিন পুলিশও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।