গাজায় ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় ফিলিস্তিনিদের

news

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করছেন ফিলিস্তিনিরা। তবে সেখানে বাকি বিশ্বের মতো নেই ঈদের আনন্দ। আছে ধ্বংসযজ্ঞ ও মৃত্যু শঙ্কা নিয়েই তারা আদায় করেছেন পবিত্র ঈদের নামাজ। আজ বুধবার গাজায় ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন তারা।

news

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭২ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিমদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। সকালে নতুন জামা পরে নামাজ, বাড়িতে বাহারি খাবার। আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে আড্ডা। সব মিলে ঈদ হয়ে উঠে পূর্ণ। কিন্তু গাজার মুসলিমদের কাছে ঈদ এমন নয়। এখানে প্রতি মুহূর্তে বেঁচে থাকার লড়াই করতে হয়। বোমার আঘাতে আনন্দ আজ তাদের চূর্ণ।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায় ফিলিস্তিনিরা বুধবার গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের আল-ফারুক মসজিদের ধ্বংসাবশেষে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছে। ঈদের নামাজের ছবিও সামনে এসেছে।

সেখানে বুধবার সকালে রাফাহ শহরের ওই মসজিদের ধ্বংসাবশেষের পাশেই ফিলিস্তিনিদের ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে দেখা যায়।

কেশরী লাল যাদব ও কাজল রাগওয়ানী ঘনিষ্ঠের ভিডিও নিয়ে তোলপাড়

আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি সামরিক ড্রোনগুলো এখনও (রাফাহ) জেলার এই অংশে চক্কর দিচ্ছে। আর এর লক্ষ্য শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের এটিই মনে করিয়ে দেওয়া যে, আনন্দ ও উদযাপনের এমন দিনেও তাদের জন্য নিরাপত্তা বলে কিছু নেই।