বিনোদন ডেস্ক : গীতা বসরাকে ফের দেখা যাবে বড়পর্দায়। ছয় বছর পর তিনি অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন করছেন। স্বামী হরভজন সিংয়ের সমর্থনের জন্যই কামব্যাক সম্ভব হচ্ছে বলে জানালেন গীতা। ছ’বছর পর পর্দায় প্রত্যাবর্তন করছেন অভিনেত্রী গীতা বসরা সিং।
২০০৬ সালে ‘দিল দিয়া হ্যায়’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক করা গীতাকে শেষবার পর্দায় দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালে। ‘লক’ ছিল তাঁর শেষ কাজ। কিংবদন্তি ক্রিকেটার হরভজন সিংয়ের স্ত্রী কামব্যক করছেন ‘নোটারি’ ছবির হাত ধরে। দুই সন্তানের মা গীতা বলছেন যে, এবার বাচ্চাদের দেখভালের দায়িত্বে ভাজ্জি। হরভজন ও গীতার এক কন্যা ও এক পুত্র রয়েছে। মেয়ে হিনায়া হীর প্লাহার বয়স এখন সাড়ে ছ’বছর। ছেলে জোভান বীর সিংয়ের বয়স দেড় বছর।
পর্দায় ফেরার প্রসঙ্গে গীতা বলেন, ‘এ এক অসাধারণ অনুভূতি। আমি একই সঙ্গে রোমাঞ্চিত এবং পজিটিভ। কিছুটা দুশ্চিন্তাও আছে। সব মিলিয়ে একটা মিশ্র অনুভূতি কাজ করছে। এই প্রথমবার মেয়েকে ছেড়ে কয়েক সপ্তাহ থাকব। ওকে মিস করব আমি। তবে আমার স্বামী আছে।
আমি জানি চিন্তার কোনও ব্যাপার নেই। মাতৃত্ব আমাকে বদলে দিয়েছে। আমি মেয়ে হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আপাতত আর কাজ করব না। ওর তখন সাড়ে ছ’মাস বয়স ছিল। ওর সঙ্গে প্রতিটি দিন থাকতাম। জোভানের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য। জোভান আমার সঙ্গেই যাবে। ভাজ্জি যেহেতু সবসময় ট্র্যাভেল করত, সেহেতু আমি ঠিক করেছিলাম যে, একজন বাড়ি থাকবে, আমিই থাকতাম। একটা সময়ের পর কাজে ফিরতে হয়। ব্যালেন্স করেই সব করতে হয়। কারণ কাজটা ভালোবাসা।
আমি সৌভাগ্যবতী যে, দারুণ একটা সাপোর্ট সিস্টেম পেয়েছি। ঘরের সমর্থন না থাকলে কাজে ফিরতে পারতাম না। যেহেতু আমাদের ৯-৫ চাকরি নয়, তাই সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার সমস্যা নেই। আমি চাই আমার সন্তানরা এই ধারণা নিয়েই বেড়ে উঠুক, তাদের মায়ের প্যাশন আছে। সে সেটা ফলো করে। এটাও তারা বুঝুক যে, মা দু’টো দিকেই ভারসাম্য রাখতে জানে।
সতি বলতে হরভজন দারুণ বাবা। মেয়ে এখন অনেকটা বড় হয়ে গিয়েছে। সোম-শুক্র স্কুলেই থাকবে। বাচ্চাদের সঙ্গে ভাজ্জির দারুণ মেলবন্ধন। একদমই এই নিয়ে চিন্তিত নই আমি।’ গীতা বুঝিয়ে দিলেন পঞ্জাব পুত্তর আছে বলেই তিনি ফের ফিরতে পারছেন কাজে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।