আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাখাইন রাজ্যের দক্ষিণ মংডু শহরে বাও দি কোন সীমান্ত রক্ষী চৌকিতে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করেছে আরাকান আর্মি। গত বৃহস্পতিবার এই আক্রমণ শুরু তারা।
মংডুর একজন মঠাধ্যক্ষ জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে। আমরা কামানের গোলা ও ছোট অস্ত্রের গোলাগুলির শব্দ শুনেছি। দুপুর পর্যন্ত যুদ্ধ তীব্র ছিল। সৈন্যরা অসংখ্য আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করেছে।
মংডুর আরেক বাসিন্দা জানান, সকাল ১০ টা থেকে একটি জেট ফাইটার দুবার বোমা ফেলেছে। আমি আমার বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। সংঘর্ষের কারণে মংডু শহরের অন্তর্গত থা রে কোন বাউং, কাইং গি, শ্বে ইয়িন আয়, খা ইয়া মায়াং এবং বাও দি কোন গ্রামের বাসিন্দারা তাদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
রাখাইন রাজ্যের বুথিদাউং শহর থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পরিবারগুলোকে সামরিক হেলিকপ্টারে প্রদেশটির রাজধানী সিত্তয়েতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি ব্যারাকে বসবাসকারী সেনা ও পুলিশ সদস্যদের স্ত্রী ও সন্তানদের হেলিকপ্টারে করে সিত্তয়েতে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। সেদিন দিনে ৮ থেকে ১০ বার হেলিকপ্টার চলাচল করেছিল। আমি এমআই হেলিকপ্টার দেখেছি।
মংডুর এমওসি-১৫ এর অধীনে প্রায় ১০টি সামরিক ব্যাটালিয়ন এবং তিনটি পুলিশ ব্যাটালিয়ন রয়েছে যারা বুথিডাং এলাকায় তাদের ঘাঁটি রক্ষা করছে।
এদিকে সম্ভাব্য হামলার ভয়ে কিয়াউকফিউ শহরে এনগা লা পাওয়েট জেটি এলাকা এবং মাদায় দ্বীপ থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে জান্তা বাহিনীর পরিবারের সদস্যদের থিত পোতে তৌং নৌ ঘাঁটিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মাদায় দ্বীপে চীনা অর্থায়নে কিউকফিউ গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প চলমান। রাখাইনেই বেশ কিছু অঞ্চল আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে হাত ছাড়া হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে নিজেদের পরিবারের সদস্যদের কিউকফিউতে নিয়ে এসেছিল জান্তা বাহিনী। আর এখন এই এলাকাও ছাড়তে হল তাদের।
এদিকে রাজ্যটির ধনিয়াওয়াদি নৌ ঘাঁটি থেকে কিছু জাতিগত রাখাইন সৈন্য পালিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তাদের ধরতে গিয়ে থিট পোতে তাউং গ্রামে গুলি চালায় জান্তা বাহিনী। একজন গ্রামবাসী জানায়, জান্তা সৈন্যরা ভোরে কায়ান চাই গ্রামে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। প্রায় ৩০ জন সৈন্য স্থলপথে ঘাঁটি থেকে পালিয়েছে এবং আরও ২০ জন জলপথে পালিয়ে গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।