লাইফস্টাইল ডেস্ক : অনেক সময় অযাচিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নথিপত্রে ভুল থেকে যায়। আর এসব ভুল শুধরাতে পড়তে হয় মহাবিপদে। বিশেষ করে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের ক্ষেত্রে যেন ঝামেলার শেষ নেই।
তবে, বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন ও সংশোধন অনলাইনে সুযোগ থাকায় ভোগান্তি কমেছে। এক্ষেত্রে অনেকেই জানেন না অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন কীভাবে ও কী কী প্রমাণপত্র প্রয়োজন হয়।
চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত—
এক্ষেত্রে প্রথমেই যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে তা হলো, জন্ম সনদটি অবশ্যই অনলাইনে নিবন্ধিত থাকতে হবে। অন্যথায় অনলাইন জন্ম নিবন্ধন করে নিতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য সংশোধনের জন্য একই ওয়েবসাইটের জন্ম তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন অংশে প্রবেশ করতে হবে। প্রথমেই সংশোধনের নির্দেশনাসহ দুটি খালি বক্স দেখা যাবে।
প্রথমটিতে জন্ম সনদে উল্লিখিত ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর আর দ্বিতীয়টিতে জন্ম তারিখ প্রদান করতে হবে। অতঃপর ক্যাপচা প্রদর্শনের পর তা পূরণ করলেই সার্ভারে লিপিবদ্ধ ব্যক্তির জন্ম সনদ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাবলি দেখা যাবে। এখানে তথ্যগুলোর প্রয়োজনীয় সংশোধনের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
আবেদন সম্পন্ন হলে পূরণকৃত ফর্মটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। এখানে ১০ থেকে ১৫ কার্যদিবসের কথা উল্লেখ থাকলেও সাধারণত আরও বেশি সময় লাগতে পারে সংশোধিত জন্ম সনদটি হাতে পেতে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-
* প্রার্থীর অনলাইন নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ
* শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদপত্র কিংবা টিকা সনদ
* মা-বাবার অনলাইন নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ। এ ছাড়াও ক্ষেত্র বিশেষ তথ্য প্রমাণ স্বরূপ প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
সংশোধনের শর্তাবলি-
পিতা-মাতার নাম সংশোধন করার ক্ষেত্রে তাদের অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদ নম্বর দিয়ে তথ্য সংশোধনের এর আবেদনপূর্বক তাদের নাম সংশোধন করতে হবে। তারপর প্রার্থীর জন্ম নিবন্ধনে মা-বাবার নাম সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে।
পিতা-মাতার জন্ম সনদ না থাকলে এবং প্রার্থীর জন্ম তারিখ ২০০১-এর আগে হলে, তার জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদনের সময় মা-বাবার নাম ঠিক করা যাবে। সেক্ষেত্রে তাদের কেউ মৃত হলেও মৃত্যুর কোনো প্রমাণ দেখাতে হবে না। সেই সঙ্গে আলাদা করে তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধনেও কোনো ব্যাপার থাকছে না।
কিন্তু প্রার্থী ২০০১-এর পরে জন্মগ্রহণকারী হলে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদনের সময় পিতা বা মাতার নাম সংশোধনের জন্য তাদের মৃত্যুর প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।