জুমবাংলা ডেস্ক : ভূমি মালিকদের জন্য এসেছে এক যুগান্তকারী খবর। ভূমি মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৫ সাল থেকে ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা প্রদানের পুরো প্রক্রিয়া হবে ডিজিটাল ও ক্যাশলেস। আর এর মানে হলো—আর নয় ভূমি অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, খাজনা দেওয়া যাবে ঘরে বসেই মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে।
কীভাবে ঘরে বসে খাজনা পরিশোধ করবেন?
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন জানান, নতুন সিস্টেমে খাজনা দিতে নাগরিকদের e-TaxBD বা www.land.gov.bd সাইটে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর খতিয়ানের ছবি আপলোড করে হোল্ডিং এপ্রুভাল নিতে হবে, যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হওয়ার কথা।
অনুমোদন পাওয়ার পরেই সিস্টেম থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে কত টাকা খাজনা দিতে হবে। এরপর তা বিকাশ, নগদ, রকেট অথবা ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। খাজনা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইনে দাখিলা বা পেমেন্ট রসিদ সংগ্রহ করা যাবে।
কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে?
অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন জানান, যদিও এই পদ্ধতি ২০২১ সালেই চালু হয়েছিল, বাস্তবে এখনো অনেক মানুষকে ভূমি অফিসে যেতে হচ্ছে। হোল্ডিং এপ্রুভাল পেতে অনেক সময় লাগছে এবং মাঝে মাঝে তহসিলদারদের ঘুষ না দিলে কাজই হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
তিনি বলেন, “৭ কর্মদিবসের মধ্যে হোল্ডিং অনুমোদনের কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। মানুষ বাধ্য হয়ে তদবির করছে, ঘুষ দিতে হচ্ছে।”
তবে সুখবর হলো, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে অন্তত ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমি সেবা পুরোপুরি অনলাইনে পাওয়া যাবে।
ভরপুর রোমান্সের দৃশ্য নিয়ে মুক্তি পেল প্রাইম প্লের নতুন ওয়েব সিরিজ
বিদেশ থেকেও দেওয়া যাবে খাজনা
নতুন এই ডিজিটাল ব্যবস্থার আরেকটি বড় সুবিধা হলো—বিদেশে থাকলেও জমির মালিকরা অনলাইনে খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন। অর্থাৎ, প্রবাসীরা আর আত্মীয়স্বজনকে ভূমি অফিসে পাঠানোর ঝামেলাতেও থাকবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।