বিনোদন ডেস্ক : বলিউড তারকাদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকের নামের পেছনেই কোনও না কোনও স্ক্যান্ডেলের গল্প রয়েছে জড়িয়ে। অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে সালমান খান, হৃত্বিক রোশন থেকে শুরু করে শাহরুখ খান, বাদ নেই কেউই। এদের মধ্যে তো আবার কেউ কেউ জড়িয়েছিলেন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কেও। পরকীয়ার জেরে তাদের ব্যক্তিগত জীবনে দারুণ প্রভাব পড়ে। আজ এই প্রতিবেদনে রইল বলিউডের সুপারহিট তারকাদের বহুল বিতর্কিত সম্পর্কগুলির কথা।
অমিতাভ বচ্চন এবং রেখা : বলিউডের ওপেন সিক্রেট বলা যেতে পারে রেখা এবং অমিতাভের প্রেমকে। খাতায়-কলমে জয়া ভাদুড়ীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরেও রেখার সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ হন সিনিয়র বচ্চন। ওই সময় তাদের সম্পর্ক ছিল বলিউডের হট টপিক। নীতু কাপুর এবং ঋষি কাপুরের বিয়েতে হঠাৎই এক মাথায় সিঁদুর এবং হাতে শাখা-পলা পরে এসেছিলেন রেখা। তখনও তিনি বিয়ে করেননি। এরপর বিয়ের পর স্বামীর মৃত্যু হলেও রেখা আজও সিঁদুর পরেন। ‘সিলসিলা’ ছবির পরই রেখা-অমিতাভের সম্পর্কে ছেদ পড়ে। পরিচালক যশ চোপড়া নিজেই তাদের সম্পর্কে সীলমোহর দিয়েছিলেন।
সালমান খান এবং ঐশ্বর্য রায় : ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির সেট থেকেই সালমান এবং ঐশ্বর্যের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সময়টা ছিল ১৯৯৯। দুই পরিবারের মধ্যেও কিন্তু বেশ ভালই সখ্যতা ছিল। তবে তাল কাটল ২০০১ সালে এসে। আচমকাই ঐশ্বর্যের থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি চেয়ে বসেন সালমান। এমনকি সালমান ঐশ্বর্যের কেরিয়ার বিগড়ে দেওয়ারও চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। ঐশ্বর্যের উপর শারীরিক নির্যাতনও চালাতেন ভাইজান। ২০০২ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
করিশ্মা কাপুর এবং অভিষেক বচ্চন : করিশ্মা এবং অভিষেক খুব কম বয়সে একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন। তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল ৫ বছরের। বলিউডে সকলেই জানতেন তারা বিয়ে করবেন। তবে দুজনের বাগদান হয়ে গেলেও নাকি এই সম্পর্ক ভেঙে যায়। আসলে মেয়ের বিয়েতে বাধ সেঁধেছিলেন করিশ্মার মা ববিতা। তিনি চাননি তার মেয়ে কোনও কম প্রতিষ্ঠিত অভিনেতার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোক। অভিষেককে জামাই হিসেবে তিনি পছন্দ করতেন না।
ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনী : ধর্মেন্দ্র যখন শুটিং সেটে প্রথম ড্রিম গার্লের প্রেমে পড়েন তখন তিনি ছিলেন বিবাহিত। সে সময় প্রকাশ কৌরের সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক ছিল তার। তাদের দুই ছেলে সানি এবং ববি তখন খুবই ছোট। তবুও কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করেই হেমাকে বিয়ে করেননি ধর্মেন্দ্র। তবে তিনি কিন্তু তার প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি। প্রথম স্ত্রীর থেকে ডিভোর্স না পেয়ে ধর্মেন্দ্র ইসলাম ধর্ম মতে বিয়ে করেন হেমাকে।
অর্জুন কাপুর এবং মালাইকা আরোরা : অর্জুন এবং মালাইকার সম্পর্কও বলিউডের হট টপিক। বেশ কয়েক বছর ধরে তারা সম্পর্কে আবদ্ধ রয়েছেন। অর্জুনের আগে আরবাজ খানকে বিয়ে করেছিলেন মালাইকা। তবে সেই সম্পর্ক ভেঙে ১১ বছরের ছোট অর্জুনের সঙ্গে লিভ ইন করতে শুরু করেন এই সুন্দরী। যতই সমালোচনা হোক না কেন, এখনও তারা তাদের সম্পর্কে অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছেন।
হৃত্বিক রোশন এবং কঙ্গনা রানাওয়াত : সুজান খানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে এমনিতেই ব্যক্তিগত জীবনে যথেষ্ট টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন হৃত্বিক। আচমকাই কঙ্গনার সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে বলিউডে জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করে। এই বিষয়টি আদালতের দোরগোড়া পর্যন্ত গড়িয়েছিল। কঙ্গনা সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও হৃত্বিক তা মানতে চাননি। বিষয়টি এখনও আদালতে বিচারাধীন।
রণবীর কাপুর এবং দীপিকা পাড়ুকোন : রণবীর এবং দীপিকার জুটিকে সত্যিই বেশ ভালবাসতেন ভক্তরা। তবে ২০১৫ সালে ‘তামাশা’ ছবির পরই তাদের ব্রেকআপ হয়ে যায়। ততদিনে ক্যাটরিনার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন রণবীর। এমনকি তারা একসঙ্গে থাকতেও শুরু করেন বলে জানা যায়। যদিও সেই সম্পর্ক খুব একটা বেশিদিন এগোতে পারেনি। বিচ্ছেদের এই সময়টা বেশ কঠিনই কেটেছিল দীপিকার জন্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।