লাইফস্টাইল ডেস্ক : মশার মতো ছারপোকাও মানুষের রক্ত চুষে থাকে। বাসা-বাড়িতে মশার হাত থেকে কয়েল বা মশারি টানিয়ে মুক্তি পাওয়া গেলেও, ছারপোকার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ ব্যাপার নয়। কেননা সোফা বা বিছানার নিচে ছারপোকা আবাস গড়ে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিছানা, মশারি, বালিশে ছারপোকার উপদ্রব দেখা দেয়। বিছানা ছাড়াও ছারপোকার অন্যতম পছন্দের আবাসস্থল হচ্ছে সোফা এবং অন্যান্য আসবাবপত্র। মূলত অপরিষ্কার বিছানা ও অগোছালো আসবাবপত্রের কারণেই ছারপোকার উপদ্রব ঘটে। যা হোক, সহজে ছারপোকা দমনের উপায় জেনে নিন।
* ঘরের যে জায়গায় ছারপোকা আছে সেখানে ল্যাভেন্ডার অয়েল স্প্রে করে দিন। প্রত্যেকদিন এটি স্প্রে করতে পারলে আরো ভালো। দেখবেন, কয়েকদিনের মধ্যে সব ছারপোকা দূর হয়ে গেছে।
* ছারপোকা তাড়ানোর জন্য অ্যালকোহল খুব ভালো কাজ দেয়। ছারপোকা আক্রান্ত জায়গায় সামান্য অ্যালকোহল স্প্রে করে দিন। আস্তে আস্তে আপনার ঘর ছেড়ে পালাবে ছারপোকার দল।
* ছারপোকা বেশি উত্তাপ সহ্য করতে পারে না। তাই ঘরের বিছানা, তোষক, লেপ, বালিশ কয়েকদিন পরপর রোদে দিন। বিছানার চাদর অন্তত সপ্তাহে একবার পরিবর্তন করুন। খাটকে দেয়ালের সঙ্গে একবারে না লাগিয়ে একটু ফাঁকা করে রাখুন।
* রোদ না থাকলে বিছানার চাদর, কুশন, বালিশ, সোফার গদি, লেপ, কম্বল বেশি তাপে সেদ্ধ করে ধুয়ে ফেলুন।
* ছারপোকা তাড়াতে মাঝে মধ্যে আসবাবপত্রে কেরোসিনের প্রলেপ দিন। এতে ছারপোকা সহজেই পালাবে।
* ছারপোকা তাড়াতে ন্যাপথলিন খুব কার্যকারী। পোকাটি তাড়াতে অন্তত মাসে দু’বার ন্যাপথলিন গুঁড়ো করে বিছানাসহ উপদ্রবপ্রবণ স্থানে ছিটিয়ে দিয়ে রাখুন। ঘরে আর ছারপোকা হবে না।
* পুদিনা পাতার গন্ধ ছারপোকা সহ্য করতে পারে না। তাই যেখানে ছারপোকা বেশি সেখানে পুদিনা রেখে দিন। বিছানা, সোফার পাশে এবং বাড়ির প্রতিটি কোণেও পুদিনা পাতা রাখতে পারেন। আপনি চাইলে এর স্প্রে করতে পারেন।
* ছারপোকা মারার আরেকটি উপায় হলো, প্রাকৃতিক কিটনাশকের ব্যবহার। যেসব স্থানে ছারপোকা থাকে, যেমন- বিছানা, ঘরের কোণা, সোফা ইত্যাদিতে কিটনাশক ছিটিয়ে দিন। দেখবেন ছারপোকা দূর হবে।
* ছারপোকা ময়লা অপরিষ্কার জায়গায় থাকতে পছন্দ করে। ঘরের মধ্যে বা খাটের নিচে মালামাল স্তুপ করে রাখবেন না। ঘর যত অপরিষ্কার থাকবে, তত ছারপোকার উৎপাত বাড়বে। ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।