জুমবাংলা ডেস্ক : আশাশুনিতে অবৈধ গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে এক বিধবা নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ওই নারীর ছেলে থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত নারীর নাম তাসলিমা খাতুন। তিনি উপজেলার মধ্যম বড়দল গ্রামের মৃত লিয়াকত গাজীর স্ত্রী।
এ ঘটনায় থানায় দাখিলকৃত এজাহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৩ বছর আগে লিয়াকত গাজী ইন্তেকাল করেন। একই গ্রামের মোহাম্মদ গাজীর ছেলে কামাল হোসেন তাদের বাড়িতে গিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেলামেশা করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের জন্য চাপ দেন। এরপর ষড়যন্ত্র করে ২৫ এপ্রিল কামাল তাসলিমা খাতুনকে ভুল বুঝিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান।
এরপর অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। বুধবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে লিয়াকত গাজীর ভাইপো আব্দুল্লাহ তাদের বাড়িতে গিয়ে বলেন, তাসলিমা খাতুনের মরদেহ উত্তর একসরা গ্রামে তার দাদা কাশেম মালীর বাড়িতে অজ্ঞাত ৩-৪ জন ব্যক্তি রেখে গেছে।
এজাহারে তাসলিমা খাতুনকে কোন ক্লিনিকে নিয়ে অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোয় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এজাহার বর্ণিত আসামিদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।