লাইফস্টাইল ডেস্ক : সকালে ঘুম ভাঙার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মোবাইল ফোন আমাদের নিয়মিত সঙ্গী। এমনকি কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর মোবাইলের স্ক্রিনে দৃষ্টি রাখা আমাদের নিয়মিত কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাইতো আমরা রাতে শোয়ার সময়ও মাথার কাছেই মোবাইল রেখে ঘুমাতে যাই।
আর এই ভুলটাই আমাদের একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘুমানোর সময় মাথার কাছে মোবাইল ফোন রাখার ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। কী সেই ক্ষতিকর দিক, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে
গবেষণায় দেখা গেছে, মাথার কাছে মোবাইল ফোন রেখে ঘুমালে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আপনি ঘুমালেও আপনার মোবাইল ফোন জেগে থাকে।
আর তার ফলে রাতেও মোবাইলে নোটিফিকেশন আসতে থাকে। ফলে রাতভর বাজতে থাকে মেসেজ টোন। কিংবা মোবাইল ভাইব্রেট হয়। আর এসব কারণেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা বাড়ে।
বিশেষত, আরইএম স্লিপ বা র্যাপিড আই মুভমেন্ট স্লিপ বিঘ্নিত হয়। তাই সাবধান হোন এখনই।
ব্রেনের গতিবিধি বাড়ে
সাধারণত ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্কও ঘুমাতে চলে যায়। তবে আপনি যদি নিয়মিত মাথার কাছে মোবাইল রেখে শুয়ে পড়েন, তাহলে ঘুমের মধ্যে মস্তিষ্কের গতিবিধি কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। এমনকি মোবাইল থেকে বের হওয়া তরঙ্গের কারণে মস্তিষ্কে শর্করার পরিমাণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
আর তার ফলেই ঘুমের মধ্যেও অতিরিক্ত তৎপর হয়ে পড়ে মস্তিষ্ক। তাই এখন থেকে ঘুমের সময় মাথার কাছে মোবাইল রাখার ভুল করবেন না।
পিছু নিতে পারে ক্যানসার
মোবাইল ফোন থেকে প্রতিনিয়ত রেডিয়েশন বের হয়। আর এই তেজস্ক্রিয় তরঙ্গ শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এমনকি এই রেডিয়েশনের কারণে ক্যানসারের মতো মারণব্যাধির আশঙ্কাও বাড়তে পারে। তাইতো বিশেষজ্ঞরা সবাইকেই যতটা সম্ভব মোবাইল থেকে দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিশেষত ঘুমের সময় কোনোভাবেই মাথার কাছে মোবাইল রাখা যাবে না।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর প্রভাব পড়তে পারে
মোবাইল থেকে নির্গত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভের কারণে গর্ভবতী মায়েদের ভ্রূণের জেনেটিক মিউটেশন হতে পারে। আর এ কারণে একাধিক সমস্যার মুখে পড়তে পারে গর্ভের সন্তান। তাই গর্ভবতী নারীরা কোনোভাবেই মাথার কাছে মোবাইল রেখে ঘুমাতে যাবেন না।
এদিকে মোবাইল নিয়ে শোয়ার কারণে পুরুষরাও বন্ধ্যাত্বের শিকার হতে পারেন। তাই বাবা হওয়ার ইচ্ছা থাকলে মোবাইল দূরে রেখে ঘুমানোই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমতে পারে
গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল ফোনের রেডিওফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশন মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বা কাজ করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমিয়ে দিতে পারে। এমনকি নিয়মিত মোবাইল ফোন নিয়ে শোয়ার কারণে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডারের মতো অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই বিপদে পড়ার আগেই সাবধান হওয়া উচিত।
সূত্র : এই সময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।