বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : এযেন ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত হওয়ার সময়ের উপগ্রহচিত্র। যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ঝড়ের অভিমুখ ও কেন্দ্রস্থল বা সাইক্লোন আই। তবে কি ধেয়ে আসছে নতুন কোনও বিপদ? ভূপৃষ্ঠের কোথায় আছড়ে পড়বে ওই ঘূর্ণিঝড়? কী নামকরণই বা করা হয়েছে তার? এই নিয়ে জল্পনার মধ্যে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেল, ঘূর্ণিঝড়ের মতো দেখতে ওই ছবি মহাশূন্যের!
সম্প্রতি অতি শক্তিশালী জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের তোলা Whirlpool নামের একটি ছায়াপথের ছবি প্রকাশ্যে আনে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এই ছায়াপথের বিজ্ঞানসম্মত নাম NGC 5194 বা M51। জেমস ওয়েবের তোলা ছবিতে ছায়াপথটিকে হুবহু ঘূর্ণিঝড়ের আকারে দেখা গিয়েছে। পৃথিবী থেকে এই ছায়াপথের দূরত্ব ২ কোটি ৭০ লাখ আলোকবর্ষ বলে জানিয়েছে নাসা।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সূত্রে খবর, জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের নিয়ার-ইনফ্রারেড ক্যামেরায় লেন্সবন্দি হয় ওই ছায়াপথ। এছাড়াও ছবিটি সংগ্রহ করতে মিড-ইনফ্রারেড নামের যন্ত্রাংশের দেয়া তথ্যের উপর নির্ভর করতে হয়েছিল।
উল্লেখ্য, জেমস ওয়েবের তোলা ওই ছবিটিকে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ছবিটিতে সাইক্লোনের ঘূর্ণনের মতো অংশের রং রক্তের মতো লাল। ছায়াপথের ওই অংশে উষ্ণ ধূলিকণা রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এছাড়া সেখানে আয়নযুক্ত গ্যাসের উপস্থিতি রয়েছে বলে দাবি করেছে নাসা।
প্রসঙ্গত, ছবিতে ঘূর্ণিঝড়ের চোখের মতো ছায়াপথটির কেন্দ্রে নীল রঙের একটি অংশ দেখা গিয়েছে। সেখানে নক্ষত্রমণ্ডলী রয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। যার পোশাকি নাম Canes Venatici। যদিও ওই নক্ষত্রমণ্ডলীর গ্রহ-উপগ্রহের সংখ্যা সম্পূর্কে অবশ্য কোনও তথ্য দিতে পারেনি নাসা।
২০২২-র ডিসেম্বরে অতি শক্তিশালী জেমস ওয়েব টেলিস্কোপকে মহাশূন্যে পাঠান মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এর পর থেকেই একের পর এক বিস্ময়কর ছবি পাঠিয়ে চলেছে এই টেলিস্কোপ। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের মতো দেখতে ছায়াপথের ছবিটিকে সবচেয়ে বিস্ময়কর বলে উল্লেখ করেছেন মহাকাশ গবেষকদের একাংশ।
প্রকাশ্য মঞ্চে সিদ্ধার্থ জড়িয়ে ধরতেই লজ্জায় পরিণীতি চোপড়া
চলতি বছরে একসঙ্গে মোট চারটি ছায়াপথের ছবি তুলে পাঠায় জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। গত অগাস্টে যা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নাসা। এই ছায়াপথগুলি বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘এল আনজুয়েলো’ বা ‘দ্য ফিশহুক’। পৃথিবীর থেকে এগুলির গড় দূরত্ব প্রায় ১০.৬ বিলিয়ন আলোকবর্ষ। সবচেয়ে দূরবর্তী ছায়াপথটিতে সূর্যের আলো পৌঁছয় না বলে জানা গিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই আরও একটি ছায়াপথের ছবি প্রকাশ্যে আনল নাসা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।