বিনোদন ডেস্ক : ‘সোনপরী’র সেই প্রিন্সিকে মনে আছে? কিংবা ধরুন ‘করিশ্মাকা করিশ্মার’ সেই ছোট্ট করিশ্মা? অথবা ‘কাল হো না হো’র সেই পুতুল-পুতুল মেয়েটাকে মনে আছে আপনার?
ভাল নাম ঝনক শুক্লা। খুব ছোট বয়সে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। মা ছিলেন ফিল্মি দুনিয়ার সঙ্গেই যুক্ত। অভিনেত্রী সুপ্রিয়া রানা শুক্লা তাঁর মা। বাবা হরি শুক্লা ছিলেন পরিচালক।
সোনপরী নামক টেলিভিশন শো’র মধ্যে দিয়ে ডেবিউ হয় তাঁর। স্ক্রিপ্টও পড়তে পারতেন না একা একা, এতটাই ছোট ছিলেন ঝনক। মায়ের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই শুটে যেতেন তিনি।
সেখান থেকেই অফার মেলে ঝনকের। অভিনয় করতে খারাপ লাগত না কোনওদিনই। ওই টুকু বয়সে তাঁর অভিনয়ও সকলের মন জয় করে নিয়েছিল অচিরেই। ‘করিশ্মা কা করিশ্মা’ নাম শো-য়ে সুযোগও মেলে তাঁর।
সেই শো-ও হিট। কাজ করেন ‘কাল হো না হো’ ছবিতেও। কিন্তু হঠাৎ করেই সব কিছুকে ছেড়ে উবে যান তিনি। আসেন বহুদিন পরে। তখন তিনি বেশ বড়। সিনেমার সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছেন।
কিন্তু কেন? ঝনক জানিয়েছিলেন, ছোট থেকেই না চাইতেই অনেক কিছু পেয়ে গিয়েছেন তিনি। পেয়েছেন কাজ, পেয়েছে অর্থ। তবে বাবা-মা চাইতেন তিনি যেন স্নাতক হন।
আর বাবা-মায়ের চাওয়াকে প্রাধান্য দিতেই সব কিছু থেকে সরে আসেন তিনি। নৃতত্ত্ব নিয়ে করেন স্নাতোকত্তরও। গ্ল্যামার জগৎ ছেড়ে দেওয়ায় কোনও আফসোসও নেই জিয়ার।
বছর দেড়েক আগে বাগদানও সেরে ফেলেন তিনি। স্বপ্নিল সূর্যবংশী নামক এক ইঞ্জিনিয়ারই তাঁর হবু বর, ইনস্টাগ্রামে বেশ সক্রিয় ঝনক। নিজের মতোই সময় কাটাতে পছন্দ করেন এই মিষ্টি করিশ্মা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।