আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মণিপুর রাজ্যে সহিংস ঘটনার নীরবতায় পার্লামেন্টের বিরোধী ও নেটিজেনদের তোপের মুখে কম পড়তে হয়নি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। দাঁড় করানো হয়েছে কাঠগড়ায়। অবশেষে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে জোড়ালো বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘মণিপুরের পাশেই আছে দেশবাসী।’
আজ (১৫ আগস্ট) মঙ্গলবার ভারতের স্বাধীনতা দিবস। নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপনে মেতেছে ভারতীয়রা। দিবসটিকে কেন্দ্র করে সেজেছে লালকেল্লা। সকালের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তায় উঠে আসে উত্তর-পূর্বের মণিপুরের পরিস্থিতি।
মণিপুরের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মোদি ভাষণে বলেন, ‘মণিপুরের মা-বোনদের সম্মানহানি ঘটেছে। তবে অশান্ত পরিস্থিতির পর কিছুদিন হলো এখন শান্তি ফিরেছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার শান্তি বজায় ও অভ্যন্তরীণ সংকট মেটাতে এক হয়ে কাজ করছে। দেশবাসী মণিপুরের পাশেই আছে। শান্তির মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজে পাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, যখন আমি ঐক্যের কথা বলি… যদি মণিপুরের সহিংসতা হয়, মহারাষ্ট্রেও ব্যাথা অনুভূত হয়।
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই বছর একাধিক রাজ্যে বহু পরিবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার মানুষের পাশে আছে। আশা করি যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শিগগিরই বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারবেন।’
জাতিগত সহিংসতায় বিধ্বস্ত মণিপুর। পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে, সাড়ে ৬ হাজারের বেশি। গত ৩ মে থেকে এই রাজ্যে কুকি-জো-চিন ও মেইতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দেড়শ মানুষ। এ পরিস্থিতিতে মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নীরব থাকায় বারবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও আনেন তারা।
এ বছর মণিপুর রাজ্যে দুই নারীকে ন’গ্ন করে গ্রামে ঘোরানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। দেখা যায়, ন’গ্ন অবস্থায় দুই নারী গ্রামে হাঁটছেন। তাদের ঘিরে রাখে একদল পুরুষ। টুইটারে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে তাদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয় ভারতজুড়ে। জড়িত থাকায় কয়েকজন আটকও হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।