বিনোদন ডেস্ক : জি বাংলার সর্বকালীন জনপ্রিয় শো “দিদি নং ১”-এর সেনসেশন হলো রচনা ব্যানার্জী। তাকে ঘিরে বাঙালি মেয়েদের আবেগ কিছু কম নয়। দীর্ঘ ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে দিদি নং ১ এর সঞ্চালিকার দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তিনি। কলকাতা শহরে ১৯৭৪ সালে ২ রা অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন রচনা।
বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ের নাম ছিল ঝুমঝুম। সেই নামেই ছোটো থেকে বড়ো হয়ে ওঠা। ১৯৯৪ তে ঝুমঝুম ব্যানার্জী জেতেন মিস ক্যালকাটা পুরষ্কার।
তার পরই তিনি পা রাখেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। পরিচালক সুখেন দাস পরিচালিত ছবির হাত ধরেই শুরু হয় টলিউডে যাত্রা। “দান প্রতিদান” ছবি দিয়েই ঝুমঝুম ব্যানার্জীর আত্মপ্রকাশ ঘটে। তবে এই ছবির সময়ই সুখেন দাস ঝুমঝুম ব্যানার্জী বদলে নাম রাখেন রচনা ব্যানার্জী। টলিউডে পা রাখতেই তৎকালীন জব্বর অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে
জুটিতে মোট ৩৫ টি ছবিতে অভিনয় করেছেন রচনা। শুধু তাই নয় বাংলার সাথে সাথে ওড়িয়া ছবিতেই দাপটের সাথে কাজ করেছেন তিনি। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন প্রসেনজিৎ – রচনা জুটি বেশ নাম করা তেমনই ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের সঙ্গে তার জুটির এক আলাদাই জনপ্রিয়তা রয়েছে।
এছাড়াও রচনা হিন্দি ও দক্ষিণী ছবি করার সুযোগও পেয়েছিলেন। বলিউডের বিগ বি অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে “সূর্যবংশম” ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। জানা যায় ওড়িয়া ছবিতে অভিনয় করাকালীন সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের সঙ্গে রচনার এক প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। দুজনে নাকি গোপনে বিয়েও করেছিলেন তবে সেই বিয়ে এক বছরের মাথায় ভেঙে যায়। সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার কারনেই নাকি ওড়িয়া ছবি থেকে সড়ে এসেছেন অভিনেত্রী।
এরপর ২০০৭ সালে প্রবাল বসুকে বিয়ে করেন রচনা। তাদের এক সন্তানও হয় প্রণীল। কিন্ত এই বিয়েও সুখের হয়নি অভিনেত্রীর। কাগজে কলমে বিয়ে না ভাঙলেও বর্তমানে সিঙ্গেল মাদার হিসাবে একমাত্র ছেলে প্রণীলকে মানুষ করছেন রচনা। বাংলার মেয়েদের সেনসেশন “দিদি নং ১”এর দিদি রচনা ব্যানার্জীর জীবনও খুব সহজ নয়। তবু সারা বাংলার মেয়েদের গল্প তিনি শুনে চলেছেন। “ দিদি নং ১” এর সঞ্চালিকা হিসেবে কেউ তাকে বিট করতে পারেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।