জুমবাংলা ডেস্ক : ক্ষেতের ফসল খেয়ে ফেলার অভিযোগ এনে ঝিনাইদহের শৈলকুপার ২০ গ্রামে ছাগল পালনে বিধি নিষেধ আরোপের অভিযোগ উঠেছে গ্রাম্য মাতব্বর ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। এতে বিপাকে হতদরিদ্র মানুষ।
তারা বলছেন, ছাগল পালন তাদের জীবিকার একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু এমন সিদ্ধান্তে তারা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ধরনের সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলছেন, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসন।
ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মাঠে ছাগল চড়ে বেড়ালেও মাত্র দুইশ’ গজ দূরের গ্রাম বেড়বাড়িতে ছাগল পালনের সুযোগ নেই। ফসল খেয়ে ফেলার অজুহাতে বেড়বাড়িসহ ২০টি গ্রামে ছাগল পালন নিষিদ্ধ করেছেন মির্জাপুর ইউনিয়নের মাতব্বর আর জনপ্রতিনিধিরা।
অথচ এসব গ্রামের দরিদ্র নারীদের আয়ের প্রধান অবলম্বন ছিলো ছাগল পালন।
তারা জানান, এ সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন তারা। সংসার চালানোসহ অন্যান্য খরচের একটা বড় অংশ আসতো ছাগল পালনের মাধ্যমে।
অবশ্য ছাগল পালন নিষিদ্ধ করার কথা অস্বীকার করেন জনপ্রতিনিধিরা। তাদের দাবি, সবাই একমত হয়েই বছরের নির্দিষ্ট সময় ছাগল পালন বন্ধ রাখেন।
মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ বলেন, আমরা বলেছি আপনারা ছাগল বেধে এবং খামার করে পালন করুন। আমরা কাউকে নিষেধ করিনি।
আর প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন শৈলকূপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ হাকিম।
ঝিনাইদহের জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজিৎ কুমার সরকার বলেন, কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় সেটি আমরা দেখবো।
ছাগল পালন নিষিদ্ধ করার বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এস, এম রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, অন্যের জমিতে গিয়ে ছাগল যাতে ফসল নষ্ট না করে সেটি নিশ্চিত করে আমরা ছাগল পালন চালু রাখবো।
বাংলাদেশে গ্রামীণ নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলতে গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগী পালনে উদ্বুদ্ধ করে সরকার। এমন পরিবেশে ২০ গ্রামে ছাগল পালন নিষিদ্ধ করাকে বেআইনি বলছেন এলাকাবাসী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।