জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীতে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি হয়েছে কোরবানির পশুর চামড়া। এ বছর গরুর চামড়ার কিছুটা চাহিদা থাকলেও ছাগলের চামড়া বিক্রি করতে পারেননি অনেকে। প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে বেশিরভাগই দান করেছেন মাদরাসা কিংবা এতিমখানায়। আড়তদাররা বলছেন, প্রক্রিয়াজাত করার খরচ বেড়ে যাওয়ায় সস্তায় কাঁচা চামড়া কেনার পরেও কাটছে না লোকসানের শঙ্কা।
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় গ্রাম ঘুরে গড়ে ৪০ টাকা করে একেকটি ছাগলের চামড়া কিনেছেন কামরুজ্জামান। তবে আড়তে গিয়ে প্রতিটি বিক্রি করেছেন ৫ টাকা করে। জানালেন, অনেকে বিক্রিই করতেই পারেননি ছাগলের চামড়া।
রাজশাহীতে গরুর চামড়া আকারভেদে বিক্রি হয়েছে ৩ শ’ থেকে ৯ শ’ টাকায়। দাম কম হওয়ায় সরাসরি চামড়া দানের পরিমাণ বেড়েছে স্থানীয় মাদ্রাসা ও এতিমখানায়।
এত সস্তায় চামড়া কিনেও খুশি নন আড়তদাররা। রাজশাহী জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকবর বলছেন, প্রক্রিয়াজাত করার খরচ বাড়ায় কম দামে কাঁচা চামড়া কিনলেও লাভের আশা নেই ব্যবসায়ীদের।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী জানালেন, চামড়া সংরক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বাজার যাতে অস্থিতিশীল না হয় সেটি নিশ্চিতে কাজ করছেন তারা।
প্রসঙ্গত, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের হিসেব মতে, এ বছর রাজশাহী জেলায় পশু কোরবানি হয়েছে সাড়ে ৩ লাখের মতো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।