জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের বাজারে চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে ১৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। যার মধ্যে ১৩ বারই দাম বেড়েছে। তুলনামূলকভাবে, গত বছরের একই সময়ে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল মাত্র ৫ বার।
সবশেষ ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাজুস। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট স্বর্ণের মূল্য ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এছাড়া, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ২৯ হাজার ১৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির কারণ
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী দামের প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। ২০২৪ সালে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৩৫ বার দাম বেড়েছে এবং ২৭ বার কমেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক পরিকল্পনার কারণে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণের প্রতি আস্থা বাড়িয়েছেন।
ক্যাপিটাল ডটকমের আর্থিক বিশ্লেষক কাইল রোডা জানান, “মার্কিন বাণিজ্য-রাজস্ব নীতি, ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। এটি খুব শিগগিরই ৩১০০ ডলার প্রতি আউন্স ছাড়িয়ে যেতে পারে।”
দেশীয় বাজারে প্রভাব
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে দেশের বাজারেও দাম বাড়ছে। চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে ১৭ বার দাম সমন্বয় হয়েছে, যার মধ্যে ১৩ বার বেড়েছে এবং ৪ বার কমেছে। এতে ব্যবসায়ীদের বিক্রি কমে গেছে।
পুরান ঢাকার তাঁতিবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুরঞ্জন জানান, “বড় ব্র্যান্ডগুলোর বিক্রি সাম্প্রতিক সময়ে কমে গেছে। মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়ীদের অবস্থাও খারাপ। ঊর্ধ্বমুখী দাম স্বর্ণ ব্যবসার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
বিশ্ববাজারের অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে, চলতি বছর আরও বেশি বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় হতে পারে। তাই বিনিয়োগ বা কেনাকাটার ক্ষেত্রে বাজার পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।