স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামে কমে গেছে ক্রেতা

জুমবাংলা ডেস্ক : গত এক সপ্তাহ আগে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে স্বর্ণ। এক লাফে ৪ হাজার ১৯৯ টাকা বাড়ানো হয়েছিল মূল্যবান এই ধাতুর দাম।

এরপর শুক্রবার (২৭ মে) ২ হাজার ৯১৬ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবুও স্বর্ণের ক্রেতা কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৭৯ হাজার ৫৪৮ টাকায়, ২১ ক্যারেট ৭৫ হাজার ৯৩৩ টাকায়, ১৮ ক্যারেট ৬৫ হাজার ৮৫ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের অলংকারের ভরি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ হাজার ২৩৮ টাকায়। তবে সামগ্রিকভাবে স্বর্ণের দাম এখন অনেক বেশি।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে দেশে অনেকবারই স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সর্বশেষ দফায় গত ২২ মে মূল্যবৃদ্ধির পর স্বর্ণের অলংকার বিক্রি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে গেছে।

জানা গেছে, কম দামে কেনা পুরোনো স্বর্ণ বিক্রি করে বাড়তি লাভের আশায় দোকানগুলোতে সাধারণ গ্রাহকদের আনাগোনা বেড়েছে। সাধারণত পুরোনো অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে বর্তমান ওজন থেকে ২০ শতাংশ বাদ দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

রাজধানীর আমিন জুয়েলার্সের একজন বিক্রয়কর্মী জানান, আগে তাদের দোকানে প্রতিদিন অন্তত ১২ থেকে ১৫ জন গ্রাহক গয়না কিনতে আসতেন। এখন ৫ থেকে ৭ জন আসেন।

তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে এমনিতেই বিক্রি ২০ শতাংশের মতো কমেছে। এখন মূল্যবৃদ্ধির কারণে আরও প্রায় ১০-১৫ শতাংশ বিক্রি কমে গেছে।

এ বিষয়ে বাজুসের সহসভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম বলেন, দাম বেশি থাকায় কিছুদিন ধরে স্বর্ণ বিক্রি কমে গেছে। তবে ব্যবহৃত পুরোনো স্বর্ণ বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। যেহেতু ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে, তাই অনেকে ব্যবহৃত স্বর্ণ বিক্রি করছেন।

মালদ্বীপের টিকিটে দুই রাতের হোটেল বাড়া ফ্রি, ইউএস-বাংলার নতুন ঘোষণা